ডেস্ক রিপোর্ট
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় জমি সংক্রান্ত ও স্কুল বিরোধকে কেন্দ্র করে এক পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এ হামলায় দুই নারী-পুরুষসহ চারজন আহত হয়েছেন।এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক।
এ ঘটনায় সোমবার(২০ এপ্রিল) আহত সুফিয়া খাতুনের মেয়ে মোছাঃ মমতাজ বেগম নিজে বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহতরা হলেন- মোছাঃ সুফিয়া খাতুন (৪০) ও তার ছেলে রোমান (১৬), পারুল আক্তার (৩৫) ও তার মেয়ে জামাই মোঃ আল আমিন (৩৩)।
অভিযুক্তরা হলো, আনোয়ার(৩০), মনির(২৮), পিতা. আব্দুর রশিদ। হালিম মিয়া (৪০), আব্দুল বারেক পিতা প্রয়াত শেখ ফরিদ দফাদার।রফিক(৪২), সফিক(৩৫) উভয় পিতা দুলাল মিয়া।খোকন আহমেদ (৪০)পিতা হইজ উদদীন।স্বপন মিয়া (৩০),মো.সাদেক (২৮) উভয় পিতা আফাজ উদ্দিন।মো. গাজী(৫০) পিতা অঙ্গাত।সকলেই ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে রবিবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আমতলী গ্রামের কড়ইতলার মোড় সংলগ্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পরিবার ও থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আমতলী গ্রামে কড়ইতলার মোড় সংলগ্ন এলাকায় আল আমিন মাস্টারের সঙ্গে রফিক মিয়ার জমি ও স্কুল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। এরই জের ধরে শনিবার ১৮ এপ্রিল দুপুরে আনোয়ার হোসেন তার লোকজন নিয়ে পড়া লেখা শিশু মডেল একাডেমী স্কুলে গিয়ে আল আমিন মাস্টারকে মারধর করে আহত করে। পরদিন রবিবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবারও দা, লাঠি, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আল আমিনের বসতবাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় আল আমিনের শাশুড়ি পারুল আক্তার, আল আমিনের খালা শাশুড়ি সুফিয়া খাতুন, আল আমিনের শ্যালক রোমান ও আল আমিন আহত হন। পরে আহতদের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মোছাঃ মমতাজ বেগম নিজে বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত করে ভালুকা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্তমানে আহতরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
ভুক্তভোগী সুফিয়া খাতুনের মেয়ে মোছাঃ মমতাজ বেগম ও তার ভাই সাখাওয়াত হোসেন সৈকত জানান, আনোয়ার হোসেন, মনির, হালিম মিয়া, রফিক মিয়া, খোকন আহম্মেদ, স্বপন মিয়া, মোঃ সাদেক, মোঃ গাজী ও মোঃ শফিকসহ আরো ১৫/২০ লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় বাঁধা দিলে তারা আমার মা, খালা, বোন জামাই ও ভাইকে আহত করে। আহতদের মধ্যে আমার মা সুফিয়া খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং আমাদেরকে মেরে ফেলার জন্য তারা প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিচ্ছে ।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে