রাজশাহীতে ১৫মে থেকে আম পাড়ার তারিখ
নির্ধারণ করে দিলেন জেলা প্রশাসন।
এম.রায়হান আলী রাজশাহী থেকে
সুষ্ঠ বাজারজাত করণের লক্ষ্যে এবং ক্ষতিকারক কেমিক্যালমুক্ত আম সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবারও রাজশাহীতে আমপাড়ার সময়সীমা বেধে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেই হিসেবে আগামী ১৫ মে’র আগে রাজশাহীতে কোনো ধরনের আম পাড়া যাবে না। ১৫ মে থেকে পাড়া যাবে গুটি জাতের আম। তবে জাতের আম পাড়া যাবে আরও দেরিতে। পর্যায়ক্রমে জেলায় বিভিন্ন জাতের আমপাড়া যাবে। তবে সেক্ষত্রেও নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনেই আম বাজারজাত করতে হবে।
এই নির্দেশনার বাইরে গিয়ে কোনো ব্যবসায়ী বা আমচাষি আম বাজারজাত করলে এবং বাজারজাতের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি এবারও গত কয়েক বছরের ন্যায় সুষ্ঠ বাজারজাত ও সারাদেশে কেমিক্যালমুক্ত আম সরবরাহ নিশ্চিত করতে মাঠে থাকবে জেলা প্রশাসনের বিশেষ টিমসহ উপজেলা প্রশাসন।
সারা দেশে রয়েছে রাজশাহীর আমের ব্যাপক চাহিদা। সেই চাহিদার কারণে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সময়সীমার আগেই অপোক্ত আম গাছ থেকে পেড়ে কেমিক্যাল দিয়ে আম পাকিয়ে বাজারজাত করে আসছিলেন। এতে করে একপর্যায়ে রাজশাহীর আমের সুনাম নষ্ট হতে থাকে। এতে বাজার হারাতে থাকে রাজশাহীর আম। ফলে প্রকৃত ব্যবসায়ীরাও লোকসানের মুখে পড়তে শুরু করেন। এই অবস্থা থেকে সারাদেশে পোক্ত এবং কেমিক্যালমুক্ত আম বাজারজাত করার লক্ষ্য নিয়ে পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের রক্ষা করতে গত কয়েক বছর ধরে আমপাড়ায় সময়সীমা বেধে দিচ্ছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। এতে করে সফলতাও এসেছে গত কয়েক বছরে। এবারও সে অনুযায়ী আম সরবরাহ করতে এবারও সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ মে) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়। তার আগে আমচাষী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে নেয় জেলা প্রশাসন। সেই অনুযায়ী আগামী ১৫ থেকে গুটিজাতের আম পাড়ার সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়।
এরপর গোপাল ভোগ জাতের আম ২০ মে থেকে, লোখনা বা লক্ষণভোগ ২৫ মে থেকে, রানীপছন্দ বা রানীপ্রশাদ ২৫ মে, সিমসাগর ২৮ মে থেকে, ল্যাংড়া ৬ জুন থেকে, আম্রপালি ও ফজলি ১৫ জুন থেকে এবং আশিনা ও বারি-৪ জাতের আম ১০ জুলাই থেকে পাড়া যাবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, ‘রাজশাহীর আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এই সুযোগে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যেন অপোক্ত ও কেমিক্যালযুক্ত আম বাজারজাত করতে না পারে সে জন্যই গত কয়েক বছরের ন্যায় আমপাড়ার সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে জেলা প্রশাসন। তবে এর জন্য রাজশাহীর মানুষকে এবারো সচেতন থাকতে হবে। যেন কেউ অপরিপোক্ত আম বাজারজাত করতে না পারে।