সেনাবাহিনীর প্রধানের পক্ষ থেকে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে ঈদ উপহার তুলে দেওয়া হয়েছে।
এম,রায়হান আলী রাজশাহী থেকেঃ
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় মহানগরীর শ্রীরামপুর টি-বাঁধের উপর সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে আড়াইশো জন দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে এ সামগ্রী তুলে দেন লে. কর্নেল ফকরুল ইসলাম চৌধুরী। ঈদ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, আটা, সেমাই, তেল ও চা পাতা।
সেনাবাহিনীর এক সংবদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সেনাসদর এর নির্দেশক্রমে আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড (আর্টডক) এর অন্তর্ভূক্ত বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার কর্তৃক বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতার পাশাপাশি দরিদ্র ও দু:স্থ জনসাধারণ এর জরুরী সাহায্য হিসাবে বিভিন্ন প্রকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যকর অব্যাহত রয়েছে।
আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রীন কমান্ড এর ব্যবস্থাপনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েকদিনে প্রায় ৭০০০ এর অধিক পরিবারকে শুকনো খাবার, মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বৃদ্ধ ও সহায়সন্বলহীন পরিবারকে নিয়মিতভাবে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।
আর্তমানবতার সেবার অংশ হিসেবে শুক্রবার আর্টডক এর অধীনস্থ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার কর্তৃক রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া এলাকায় এবং চট্টগ্রাম, বগুড়া, নাটোর, সিলেট ও খুলনা এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এর ব্যবস্থাপনায় স্ব স্ব এলাকায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে অত্র প্রতিষ্ঠান কর্তৃক রাজশাহী জেলার পবা, গোদাগাড়ী, দুর্গাপুর, মোহনপুর, শাহ মখদুম, বোয়ালিয়া, পুঠিয়া, রাজপাড়া ও মতিহার খানার বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ২১ মেট্রিক টন শুকনো খাবার কর্মহীন, দরিদ্র ও অসহায় ১৯০০ পরিবারের মাঝে সরবরাহ করা হয়েছে। এই ত্রাণ সামগ্রী দু:স্থ ও দরিদ্র পরিবারের জন্য সেনাবাহিনী প্রধান এর পক্ষ হতে ঈদ উপহার। এই দূর্যোগ কালীন সময়ে দরিদ্র পরিবার সমূহকে আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্র্রিন কমান্ড এর অধীন বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার এর মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চলমান থাকবে।