রাকিবুল হাসান আহাদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
নেশা ও জুয়ার বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানা পুলিশের জিরো টলারেন্স নীতি বহুদিনের। সম্প্রতি নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানা এলাকায় জুয়ার আসর থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে আসামীগন তাদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। পরে তারা জামিনে বেরিয়ে আসার পর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এছাড়াও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা আইসিটি আইনের ধারায় মারাত্মক অপরাধ।
জানা গেছে, গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে পুলিশ দেড় লাখ টাকা ও জুয়ার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। জুয়াড়ীগন দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রভাব খাটিয়ে এসব অপকর্ম করছে দীর্ঘদিন ধরে। ওই আসামীদের বিরুদ্ধে রয়েছে আরও বিভিন্ন অপরাধে বহু মামলা।
এ দিকে চিরাং ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তুফা (৩৯) শুক্রবার জামিনে বের হয়। নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কেন্দুয়া থানার পুলিশের নামে নানা অভিযোগ করে যাচ্ছে যাহা একটি নাটক সাজানোর চেষ্ঠা । সচেতন নাগরিক সমাজ ও সুধী মহলের প্রতিক্রিয়া অপরাধীদের দমন করা না হলে জুয়াসহ বিভিন্ন নেশায় ধংস হয়ে যাবে কেন্দুয়ার যুবসমাজ। বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দুয়া থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে কেন্দুয়া পৌর শহরের সাউদপাড়া এলাকার কাঠমিস্ত্রী এনামুল হকের বাসায় কাঠের দুতলায় বসা জুয়ার আসর থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, কেন্দুয়া পৌর শহরের ৫ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিছুর রহমান রতন (৩৮), ৯ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল কাইয়ুম (৪০), উপজেলার চিরাং ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তুফা (৩৯), উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি রেজাউল হাসান সুমন (৪০), কান্দিউড়া ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ডের সদস্য আবু হারেছ (৩২),ব্যবসায়ী রতন মিয়া (৩৬), হায়দার আলী (৩৯),জুয়েল মিয়া (২৮) ও কিশোরগঞ্জ জেলার বিল্লাল হোসেন (৩৪)। বিল্লাল হোসেন ছাড়া বাকিদের বাড়ি কেন্দুয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কেন্দুয়া থানার ওসি মো: রাশেদুজ্জামান জানান, একটি সংঘবদ্ধ জুয়ারী চক্র দীর্ঘদিন ধরে আশপাশের জেলার ও নেত্রকোণার বিভিন্নস্থানের জুয়ারীদের নিয়ে বিভিন্নস্থানে গোপনে জুয়ার আসর জমিয়ে আসছিলেন। তাদের ধরতে নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছিল। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে খেলায় ব্যবহৃত ১ লাখ ৫৩ হাজার ১৮৭ টাকা ও কয়েক বান্ডিল তাস জব্দ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, থানায় তাদের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা হয়। তাদেরকে নেত্রকোণায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে । এর মধ্যে গোলাম মোস্তুফাকে নিয়ে তিনি জানান জুয়া খেলায় গোলাম মোস্তুফাকে ধরতে গেলে সে দুতলা বিল্ডিং থেকে লাফ দিয়ে আহত হয় এবং ইতোপূর্বে সে জুয়া খেলায় গ্রেফতার হয়ে পুলিশের নামে নানা অভিযোগ করে। তার নামে থানায় একাদিক মামলা রয়েছে, এখন সে জামিনে বের হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ।