সোহেল রানা রাজশাহী তানোর প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের ৭১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির শরিফুল ইসলাম কে দেখে ক্ষিপ্ত তানোর থানা আওয়ামী লীগ সহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ,সমালোচনার ঝড় বইছে স্থানীয় নেতাকর্মীদেৱ মধ্যে যে কোন সময় ঘটতে পারে অঘটন ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
আজ ২৩ শে জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এক আয়োজনে তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খেলনাৱ জিনিস না যে কেউ এসে আওয়ামী লীগ কে নিয়ে খেলবে আর আমরা মুখ বুজে বসে থাকবো তা ভাবলে ভুল ভাববেন।
মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানীর ছোটভাই শরিফুল ইসলাম যে কিনা গত তানোর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথমে নৌকা প্রতীক চান দলীয় ভাবে তাকে নৌকা প্রতীক না দেওয়া হলে সে বাংলাদেশ ওয়াকাস পার্টিতে যোগ দিয়ে হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করেন এবং বিভিন্ন ভোট সেন্টারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে বেধোর ভাবে মারধর করেছেন তার প্রমাণ দৃশ্যমান তাদের নিজ এলাকার ভোট সেন্টারগুলোতে যেইভাবে হাতুর দিয়ে নৌকা ফুটা করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীর উপরে যেভাবে আক্রমণ করেছে তার প্রমাণ তানোর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল । সেই ওয়াকাস পার্টির হাতুর প্রার্থী শরিফুল ইসলাম কোন উদ্দেশ্যে ও কি কারনে আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে আর আমাদের তানোর উপজেলার নামধারী এক নেতা আব্দুল আল মামুন দুই দিন আগে যে কিনা রাব্বানী শরিফুলের মা মাসি তুলে গালি দিল আর বলল তারা আর আওয়ামীলীগ নাই তারা এখনো ওয়াকার্স পার্টির যোগ দিয়েছে তাহলে কি এখন মামুন ও আওয়ামী লীগ ছেড়ে ও ওয়াকার্স পাটিতে যোগ দিলো। তবে আজ রাব্বানী ও আব্দুল আল মামুন ওয়াকার্স পার্টির প্রার্থী তানোর উপজেলা নির্বাচনের নৌকা ফুটো করার মেন নায়ক শরিফুল ইসলামকে নিয়ে উপজেলাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করলেন সেই কারন কি ও কি উদ্দেশ্যে??, তানোর থানা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীর এই প্রশ্ন।
উল্লেখ্য যে তানোর থানা তৃণমূল ১জন আওয়ামী লীগকর্মীর মুখের কথা, এই মহামারী করনা ভাইরাসে তারা কোথায় ছিল?? রাব্বানী কোথায় ছিল?? মামুনই কোথায়বা ছিল?? ওয়াকাস পার্টির শরিফুল জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গোলাম রাব্বানী এমপি ভোট করবে বলে বিভিন্ন খেলার মাঠে মোটরসাইকেল ফ্রিজ ও রাস্তাতে ইট ও কিছু মসজিদ-মাদ্রাসায় অনুদান দিয়েছেন আবার শোনা যায় কিছু অনুদান এখনও বাকি আছে তবে কি তিনি তখন এমপি ভোট করার জন্য এগুলো করছিলেন তা না হলে এই মহামারী করোনাভাইরাসে কেন সে ঘরের ভিতর ঢুকে আছে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তার উচিত ছিল । গুঞ্জন উঠেছে যে গোলাম রাব্বানী মেয়র বিচারের ফায়সালা করে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করে সেই ৮০ হাজার টাকা নিয়ে আজকের এই মানুষ দেখানো আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে অথচ দু’বেলা জরিমানার টাকা নিতে চিনাশো পাড়ার মাহাবুর তার বাড়িতে ঘুরে।