জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় সরকারি সেতু দিয়ে জনসাধারণ ও গবাদি পশু চলাচলে বাধা প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি সেতু দিয়ে লাশ নিয়ে কবরস্থানে যাওয়ার পথে বাঁধা প্রদান করার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে সম্প্রতি একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করা করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, উপজেলার বড় মোহাম্মদপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নলজুর নদীর নালী খালের ওপর কয়েক বছর আগে দুর্যোগ ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের বাস্তবায়নে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটির পাশে যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুহিত মিয়ার বাড়ি হওয়ায় সেতু দিয়ে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল এমনকি গরু ছাগল চলাচলে মুহিত মিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রায়ই বাধা নিষেধ প্রদান করা হয়। এনিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হলে বসে সালিশ বৈঠক। এতে মুহিত মিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে আর সেতু দিয়ে চলাচলে বাধা নিষেধ প্রদান করা হবে না বলে গ্রামবাসীকে আশ্বাস করেন।
সম্প্রতি প্রবাসী মুহিত মিয়ার বাড়িতে থাকা তাঁর মা চাম্পা বেগম সেতুর সংযোগ সড়কের মুখে বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে রাখেন ফলে সেতু দিয়ে যানবাহন জনসাধারণের চলাচল এমনকি গরু ছাগল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মোহাম্মদপুর গ্রামের আশিক মিয়া জানান, সরকারি সেতুটি তাদের বাড়ির সামনে তৈরি হওয়ায় তারা সেতুটি তাদের মালিকানা সম্পত্তি মনে করে। সম্প্রতি গ্রামের হিরন মিয়ার মায়ের লাশ নিয়ে কবরস্থানে সেতু দিয়ে যাওয়ার পথে বাধা প্রদান করা হয়। নিরুপায় হয়ে পানি ভেঙে কবরস্থানে যাওয়া হয়।
একই গ্রামের বাসিন্দা ও যুবলীগ নেতা আনহার মিয়া বলেন, সরকারি সেতুতে বাঁশের বেড়া দিয়ে চলাচল বন্ধ করা দুঃখজনক। আমরা তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম বলেন, মোহাম্মদপুর গ্রামবাসীর পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কোন অবস্থায় সরকারি সেতু বন্ধ করার অধিকার কারো নেই। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।