নাটোর প্রতিনিধিঃ
নাটোরে শহরের হরিশপুর এলাকায় ঢাবির মেধাবী ছাত্রী সুমাইয়া খাতুনকে হত্যার ঘটনায় মূল আসামি সুমাইয়ার স্বামী মোস্তাক এবং শশুর জাকির হোসেনকেআদালতে সোপর্দ করে ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। শুক্রবার(২৬ জুন) বেলা ১১ টায় নাটোর থানার এস আই নজরুল ইসলাম সুমাইয়ার স্বামী মোস্তাক ও শশুর জাকির হোসেনকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে হাজির করে তাদের জ্ঞিাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।বিকালে শুনানী শেষে বিচারক তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে পুলিশ শাশুরী সৈয়দা মালেকা সুলতানা এবং ননদ যুথিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানালে বিচারক আগামি রবিবার রিমান্ড শমুনানীর দিন ধার্য্য করেন।
থানায় অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শশুর বাড়ি থেকে চাহিদামত টাকা না পাওয়ায় বেকার মোস্তাক বেপরোয়া হয়ে উঠে। বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য বার বার চাপ দেয়। কিন্তু বাবার মৃত্যূর পরে সুমাাইয়া তার স্ট্রোকে আক্রান্ত মায়ের কাছে টাকা না চেয়ে নিজেই কিছু একটা করার চিন্তা করছিল। এজন্য সে প্রস্তুতি নিচ্ছেল বিসিএস পরীক্ষায় অেংশ নেওয়ার। মেধাবী সুমাইয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী ছিল ।সে অনার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তির্ণ হয়। গত বুধবারে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে ৩.৪৪ মার্ক পেয়ে প্রথম শেণিতে উত্তির্ণ হন। কিন্তু এই ফলাফল পাওয়ার আগেই সুমাইয়াকে চলে যেতে হলো না ফেরার দেশে। সুমাইয়াকে হত্যার পরে এটি আত্ম হত্যার ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করে সুমাইয়ার শশুরের পরিবার।তারা জানান, গলায় ফাসঁ দিয়ে সুমাইয়া আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু খোঁজ খবর নিয়ে সব কিছু জানতে পেরে সুমাইয়ার মা সোমবার গভীররাতে নাটোর থানায় মোস্তাকসহ ৪জনকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।নাটোর থানার ওসি জাহাঙ্গীর আরম জানান, আদালত শুনানী শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আমরা দ্রুতই তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করব।