রুহুল আমিন মল্লিক
বাংলাদেশে কি নারী ডাক্তারের এতোটাই অভাব?আপনারা যারা বিয়ে করেছেন,,ছেলে মেয়ের বাবা হবেন তারা কান খাড়া করে শুনুন।
আপনার স্ত্রীকে ডেলিভারির নামে কিসের সিজার করাচ্ছেন,,যে সিজার পুরুষ ডাক্তার দিয়ে করানো হয়।
মনে রাখবেন, আপনার স্ত্রীর গোপণ অঙ্গ আপনি ব্যতীত কোনো পুরুষের দেখার অধিকার নেই।
যদি এমনটা হয়,তাহলে কাল কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহর নিকট এর জবাবদিহিতা আপনাকেই করতে হবে
এই লজ্জাটা কার?লজ্জাটা আপনার।
এই লজ্জাটা গোটা মানবজাতির।
আসুন নিয়ম বদলাই।
অন্যান্য দেশ গুলোতে স্ত্রীর ডেলিভারির সময় স্বামীকে পাশে রাখা হয়।এতে স্ত্রীর মন অনেক বেশী আত্মবিশ্বাসী হয় ওঠে।আর স্ত্রীরা ভাবে নতুন কোনো মানুষকে পৃথিবীতে আনতে হয়তো আমার মৃত্যুও হতে পারে,কিন্তু আমার সৌভাগ্য যে,আমার এই জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আমার স্বামী আমার পাশে আছে,আপাতত আমি তার চেহারার দিকে তাকিয়ে সব যন্ত্রণা হাসিমুখে মেনে নিতে পারবো।
কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে আঁতুরঘর তো দুরের কথা হসপিটাল এর অপারেশন রুমের আশেপাশেও স্বামীকে রাখা হয় না।
কিছু কিছু ডাক্তারের আত্মসম্মানে লাগে স্বামী পাশে থাকতে চাইলে।
আমি মনে করি একজন স্বামী যদি তার স্ত্রীর পাশে থেকে ডেলিভারি বা সিজারের কষ্ট টা নিজ চোখে দেখে,, তবে স্বামী পরবর্তীতে স্ত্রীর সাথে কখনোই খারাপ ব্যবহার করার সাহস হতো না, সে যতো নিষ্ঠুর পুরুষই হোক না কেন। একটু হলেও তার স্ত্রীকে মায়ার আচলে আগলে রাখতো।
আমি জানি বাংলাদেশে হয়তো এই নিয়মটা কখনোই বদলাবে না, তারপরও মানুষ একটু হলেও সচেতন হোক এবং মহিলা ডাক্তার দ্বারা তার স্ত্রীর ডেলিভারি বা সিজার করাক।