নিউজ ডেস্ক
ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে বাউফলের কাছিপাড়া-কালিশুরী সড়কের মেরামতকাজ পরে আছে। এতে জনসাধারণ সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। সড়কটির মেরামতকাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৬-২০১৭ইং অর্থ বছরে স্থাণীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সড়কটি নির্মাণ করা হয়। তখন নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ফলে সড়কটি নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যেই আবার খানাখন্দে ভরে যায়। এরপর দীর্ঘদিন আর সংস্কার করা হয়নি। ২০১৮-২০১৯ইং অর্থ বছরে কালিশুরী-কাছিপাড়া ৪ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে মেরামতকাজ পায় আজাদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে সড়কটি মেরামতকাজের ব্যায় ধরা হয় প্রায় সোয়া কোটি টাকা। কার্যাদেশ পেয়ে সামান্য অংশের কাজ করে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখেন ঠিকাদার। ফলে বর্ষা মৌসুমে এই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। বর্তমানে সড়কটির একাধিক অংশের ইট, পাথর ও খোয়া উঠে গিয়ে কাঁদামাটিতে পরিণত হয়েছে। এর ফলে কালিশুরী ও কাছিপাড়া ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত মহা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ওই দুটি ইউনিয়নের মানুষ এই সড়কটি দিয়ে উপজেলার সদরের সঙ্গেও যোগযোগ রক্ষা করেন । এছাড়াও মালবাহি ট্রাক ও ট্রলিসহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। কাছিপাড়া বাজারে ব্যবসায়ী জয়নাল আকন বলেন,‘বর্তমানে সড়কটি দেখলে মনে হয়, এখানে ধান রোপন করা হবে, তাই নাঙ্গল দিয়ে চাষ করা হয়েছে।’ এই সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে বর্তমানে ওই দুটি ইউনিয়নের মানুষ প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে কনকদিয়া ও বগা হয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করছেন। কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার দেলোয়ার হোসেন বলেন, কাগজে কলমে প্রকল্পটি আজাদ এন্টারপ্রাইজের নামে হলেও কাজটি করছেন পটুয়াখালী এলজিইডির উপ-সহকারি প্রকৌশলী কামাল হোসেন। সরকারি চাকুরির আড়ালে কামাল হোসেন মূলত ঠিকাদারি করছেন দাবী করে তিনি আরও বলেন, নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজটি করায় এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এরপর কামাল হোসেন ভাল মানের সামগ্রী দিয়ে কাজটি করার প্রতিশ্রুতি দেন। পটুয়াখালী এলজিইডি অফিসের একটি সূত্র জানায়, কামাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে একই স্থানে চাকুরি করায় প্রভাব বিস্তার করছেন। জনশ্রুতি আছে, তার কথায় পটুয়াখালী এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওঠেন আর বসেন। তার কথার বাইরে সকল নির্মাণকাজের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। কাছিপাড়া-কালিশুরী সড়কটির মেরামত কাজও দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় স্থানীয় এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তারা কোন পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাউফল এলজিইডি অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা সাইট পরিদর্শনে গেলে কামাল হোসেন হুঙ্কার দিয়ে ওঠেন। কোন ঠিকাদারের বিল পটুয়াখালী পাঠালে দেখে নিবেন বলেও হুমকি দেন। অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পটুয়াখালী এলজিইডির উপ সহকারি প্রকৌশলী কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি কোন ঠিকাদার নই। আমার ভাতিজা মালেক পটুয়াখালীর আজাদ এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্স নিয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে কাজটি করছেন। অকারণে আমার নাম জড়ানো হচ্ছে।’ তবে কাজটির সিডিউল তৈরির সময় কিছু ভূলত্রুটি হয়েছে দাবী করে তিনি বলেন, ‘নতুন করে সিডিউল তৈরি করে অনুমোদনের পর বাকি কাজ সম্পন্ন করা হবে।’ এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার বলেন, সড়কটির বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জনসাধারনের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাউফলে সড়কের কাজ ফেলে রাখায় জন দুর্ভোগ
ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে বাউফলের কাছিপাড়া-কালিশুরী সড়কের মেরামতকাজ পরে আছে। এতে জনসাধারণ সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। সড়কটির মেরামতকাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৬-২০১৭ইং অর্থ বছরে স্থাণীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সড়কটি নির্মাণ করা হয়। তখন নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ফলে সড়কটি নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যেই আবার খানাখন্দে ভরে যায়। এরপর দীর্ঘদিন আর সংস্কার করা হয়নি। ২০১৮-২০১৯ইং অর্থ বছরে কালিশুরী-কাছিপাড়া ৪ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে মেরামতকাজ পায় আজাদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে সড়কটি মেরামতকাজের ব্যায় ধরা হয় প্রায় সোয়া কোটি টাকা। কার্যাদেশ পেয়ে সামান্য অংশের কাজ করে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখেন ঠিকাদার। ফলে বর্ষা মৌসুমে এই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। বর্তমানে সড়কটির একাধিক অংশের ইট, পাথর ও খোয়া উঠে গিয়ে কাঁদামাটিতে পরিণত হয়েছে। এর ফলে কালিশুরী ও কাছিপাড়া ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত মহা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ওই দুটি ইউনিয়নের মানুষ এই সড়কটি দিয়ে উপজেলার সদরের সঙ্গেও যোগযোগ রক্ষা করেন । এছাড়াও মালবাহি ট্রাক ও ট্রলিসহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। কাছিপাড়া বাজারে ব্যবসায়ী জয়নাল আকন বলেন,‘বর্তমানে সড়কটি দেখলে মনে হয়, এখানে ধান রোপন করা হবে, তাই নাঙ্গল দিয়ে চাষ করা হয়েছে।’ এই সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে বর্তমানে ওই দুটি ইউনিয়নের মানুষ প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে কনকদিয়া ও বগা হয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করছেন। কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার দেলোয়ার হোসেন বলেন, কাগজে কলমে প্রকল্পটি আজাদ এন্টারপ্রাইজের নামে হলেও কাজটি করছেন পটুয়াখালী এলজিইডির উপ-সহকারি প্রকৌশলী কামাল হোসেন। সরকারি চাকুরির আড়ালে কামাল হোসেন মূলত ঠিকাদারি করছেন দাবী করে তিনি আরও বলেন, নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজটি করায় এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এরপর কামাল হোসেন ভাল মানের সামগ্রী দিয়ে কাজটি করার প্রতিশ্রুতি দেন। পটুয়াখালী এলজিইডি অফিসের একটি সূত্র জানায়, কামাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে একই স্থানে চাকুরি করায় প্রভাব বিস্তার করছেন। জনশ্রুতি আছে, তার কথায় পটুয়াখালী এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওঠেন আর বসেন। তার কথার বাইরে সকল নির্মাণকাজের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। কাছিপাড়া-কালিশুরী সড়কটির মেরামত কাজও দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় স্থানীয় এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তারা কোন পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাউফল এলজিইডি অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা সাইট পরিদর্শনে গেলে কামাল হোসেন হুঙ্কার দিয়ে ওঠেন। কোন ঠিকাদারের বিল পটুয়াখালী পাঠালে দেখে নিবেন বলেও হুমকি দেন। অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পটুয়াখালী এলজিইডির উপ সহকারি প্রকৌশলী কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি কোন ঠিকাদার নই। আমার ভাতিজা মালেক পটুয়াখালীর আজাদ এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্স নিয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে কাজটি করছেন। অকারণে আমার নাম জড়ানো হচ্ছে।’ তবে কাজটির সিডিউল তৈরির সময় কিছু ভূলত্রুটি হয়েছে দাবী করে তিনি বলেন, ‘নতুন করে সিডিউল তৈরি করে অনুমোদনের পর বাকি কাজ সম্পন্ন করা হবে।’ এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার বলেন, সড়কটির বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জনসাধারনের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।