সোশ্যাল মিডিয়া ও ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ জনদুর্ভোগের কারন ত্রিশাল উপজেলার অামিরাবাড়ী ইউনিয়নের টান বড়গাঁও গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি শিরোনামে প্রকাশিত হওয়ায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-নজরে আসে।
জানা যায়, রাস্তাটি ৪কিলো ১০০ মিটার নির্মাণ কাজের জন্য অনুমোদন পেয়েছে জনাব মোঃ নাঈম নামে একজন ঠিকাদার ব্যক্তি। রাস্তাটি পরিদর্শনে আসেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিবর্গ। অাগামী ৭থেকে১০দিনের মধ্যে কাজ শুরু করার অাশা প্রকাশ করেছেন। তাই এলাকা বাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। অচিরেই তাদের জনদুর্ভোগ দূর হবে।
পূর্বে উল্লেখিত সংবাদ প্রকাশের আলোকে জানা যায,
ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার ১২নং অামিরাবাড়ী ইউনিয়নের টান বড়গাঁও গ্রামের (গুপ্ত বৃন্দাবন ) কাঁচা রাস্তাটি কাঁদা থাকায় যান চালাচল সহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে , দেখার কেউ নেই।
জানা যায়,এই রাস্তাটি ব্রিটিশ আমলে রেল লাইন তৈরি করার জন্য রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তাই রাস্তাটি খুব প্রস্থ ও সোজা কোন ধরনের বাক নেই । এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানতে পারা যায় গফরগাঁও রেলস্টেশনের সাথে রাস্তাটি রেললাইন সংযোগস্থলের কথা ছিল । পরবর্তী সময় আর রেললাইন হয়নি, তাই ব্রিটিশ অামল থেকে এ পর্যন্ত এক উড়ি মাটিও পড়েনি রাস্তার উপরে । বর্ষা অাসলেই পানিতে রাস্তা যেন ফসলের চাষ যোগ্য জমিতে পরিনত হয় । তবে রাস্তাটি ত্রিশাল উপজেলা থেকে ভালুকা উপজেলা পূর্ব দিকে মিলিত হয়েছে এবং পাশেই গফরগাঁও উপজেলার সীমানা সুতিয়া নদী দিয়ে বিভক্ত ।রাস্তাটির পশ্চিম দিকে অামিরাবাড়ী ধলীয়াবহুলী চৌরাস্তা হয়ে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে মিলিত হয়েছে ভালুকা ও ত্রিশাল উপজেলার শেষ সিমানা দিয়ে। তবে রাস্তাটি ভালুকা উপজেলার বহুলী মোড় পর্যন্ত পাকা, বাকী রাস্তাটি ১২ নং অামিরাবাড়ী চখরী বাড়ী মোড় থেকে ত্রিশাল উপজেলার শেষ সিমানা টান বড়গাঁও ৯৬ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে ত্রিশাল ও ভালুকা উপজেলার শেষ সিমানা শান্তিগঞ্জ বাজার পর্যন্ত কাঁচা। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত গ্রামের বহু মানুষ ও স্কুল কলেজের ছাত্র- ছাত্রী চলাচল করে। এই রাস্তা দিয়ে তিনটি উপজেলার মানুষ বিভিন্ন গন্তব্যে যায় । কাঁচা রাস্তাটিতে কাঁদা থাকায় রিক্সা সহ বিভিন্ন যানবাহন ও পথচারীদের জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সাথে কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া বড় কষ্ট কর হয়ে পরে এবং কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে। তাই গ্রাম বাসীর দাবি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সু-দৃষ্টি দিলে কাঁচা রাস্তাটি অতি দ্রুত পাকা করে দিলে কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলা চলের সুবিধা পাবে।