জেকেজি’র চেয়ারম্যান সাবরিনা তিন দিনের রিমাণ্ডে
নিউজ ডেস্ক
করোনাভাইরাস পরীক্ষায় জালিয়াতি করার অভিযোগে আটক জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান সাবরিনা আরিফকে তিন দিনের রিমাণ্ডে নিয়েছে পুলিশ।
আজ সকালে আদালতে উপস্থাপন করে পুলিশ চার দিনের রিমাণ্ড দেয়ার জন্য আবেদন করে।
পরে আদালত সাবরিনা আরিফের তিন দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করে।
রোববার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক করার তথ্য দিয়েছিলো পুলিশ।
ওই দিনই জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে তাকে বরখাস্ত করার অফিস আদেশ জারি করা হয়েছিল।
রোববার তাকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদের পর তেজগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত কমিশনার মাহমুদ খান বিবিসি বাংলাকে সাবরিনা আরিফের গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করেন।
“জেকেজি’র প্রধান নির্বাহী ও তার (সাবরিনা আরিফের) স্বামীকে যে মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে, ঐ একই মামলায় তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।”
মাহমুদ খান জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে পুলিশ তলব করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলার সাথে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার অনুমোদন থাকলেও পরীক্ষা না করে ভুয়া ফলাফল দেয়ার অভিযোগে ২৩শে জুন জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযোগ সম্পর্কে সাবরিনা চৌধুরীর কোন বক্তব্য পাওয়া না গেলেও জেকেজি’র জালিয়াতির সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগকে ‘অপপ্রচার’ বলে উল্লেখ করে কয়েকদিন আগে সংবাদপত্রে একটি বিজ্ঞপ্তি দেন তিনি।
ওদিকে, করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির ঘটনায় জেকেজি ও রিজেন্ট হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ ওঠার পর শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি সংবাদি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
সেখানে উল্লেখ করা হয় যে জেকেজি’র স্বত্বাধিকারী আরিফুল হক চৌধুরীর আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় জেকেজি গ্রুপকে কোভিড-১৯ পরীক্ষার অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য