শ্রীপুরে ক্যাবল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক
গাজীপুরের শ্রীপুরে দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় আর এন ক্যাবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় তারা ৪টি ট্রান্স মিটার, ১০ টি নোট, ২০টি এমসি, ৩টি মিডিয়া, ২টি ডিভি মিটার, দুই কিলো মিটার ফাইভার তার লুটে নেয় এবং ঘরে থাকা ২টি ভোল্টেজ স্টেবোলাইজারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ ঘটনায় ডিশ ব্যবসায়ী রুহুল আমীন বাদী হয়ে সোমবার হামলাকারীদের অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। শনিবার (১১জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের হালুকাইদ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলো স্থানীয় জামাল উদ্দিনের ছেলে ইসমাইল হোসেন রিয়াদ, ফারুক হোসেনের ছেলে রাকিব মিয়া (২৪), নাসির উদ্দিনের ছেলে সুজাত (২২), আব্দুস শাহিদের ছেলে আকবর আলী (২৫), রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল মিয়া (২৫), গোলাপ মিয়ার ছেলে সাগর (২৬), রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে সাহিদ উরফে শাহি (২৯), কামাল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৩), সাজেদুল ইসলামের ছেলে ফয়সাল আহমেদ (১৮), মোহাম্মদ আলীর ছেলে তানভীর হোসেন (২৪), হাসেন আলীর ছেলে পারভেজ মিয়া (১৯) মহন মিয়ার ছেলে আশরাফুলসহ অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামী করা হয়। নিয়ে প্রকাশ্যে আওয়ামী নাম দারী বিএনপির বখাটে, নেশাখোরেরা ভাংচুর চালিয়ে মালামাল লুট করে।
আর এন ক্যাবল নেটওয়ার্কের ব্যবসায়ী রুহুল আমিন জানান, স্থানীয় ইসমাইল হোসেন এলাকায় ডিশ ব্যবসা করতে হলে গাজীপুর-৩ আসনের এমপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে গত কয়েকদিন যাবত আমার কাছে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা অথবা এককালীন দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দেয়ায় তার লোকজন ওয়নধষ ং নামে একটি ফেইক আইডি থেকে ডিস লাইন নিয়ে গুজব ছড়ায়। এরপর থেকে ইসমাইল ও তার সহযোগীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীকে ডিশের বিল উঠাতে বাঁধা দেয় এবং ডিশ ব্যবসা দখল হয়ে গেছে বলে জানায়। কেউ বিল উঠাতে আসলে তাদেরকে হাত, পায়ের রগ কেটে দিবে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করারও হুমকি দেয়।
অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন রিয়াদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। একজন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) ঘটনা তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রামণীত হলে যথাযথ আইগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
গাজীপুর-৩ আসনের সাংসদ ইকবাল হোসেন সবুজ সাংবাদিকদের জানান, আমি অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে চিনি না। সে যদি আমার নাম ব্যবহার করে চাঁদা দাবি করে থাকে আমি পুলিশকে নির্দেশ দিচ্ছি ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।