খোরশেদ আলম জীবন
ভালুকায় ডাকাতিয়া কালিয়াজুরি এলাকার ব্রিজ নির্মাণ কাজে দেরি হওয়ায় চরম দূর্ভোগ, কষ্ট পোহাতে হচ্ছে দশটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। বর্তমানে এক দিকে করোনা আতংক অন্য দিকে বৃষ্টির কারণে ব্রিজ নির্মাণের স্থলে ব্যাপক পানির স্রোতে বাঁধ ভাংঙ্গনের ফলে পারাপারের পাশের রাস্তাটি পানির ধারে ভেঙ্গে গেছে, বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুকি নিয়েই প্রতিদিন জীবিকার তাগিদে চরম আতংকে পারাপার হচ্ছে হাজার হাজার নারী-পুরুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের কালিয়াজুরি রাস্তা এবং ব্রিজটি প্রায় দীর্ঘ দিন আগে নির্মাণের প্রস্ততি গ্রহন করা হয় ফলে ঐ এলাকাবাসী আশার আলো দেখলেও বর্তমানে চিত্র উল্টো। ঐ এলাকার শাহ আলম সরকার জানান, জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা বাহিকতায় রাস্তাটি আংগারগাড়া বাজার থেকে উত্তর দিকে এই রাস্তা নির্মাণের জন্য ইট ও বালু ফেলে রাখা হয়েছে। কিন্তু অসমাপ্ত কাজ করা হচ্ছে না। তবে রাস্তাটিতে ইট বা বালু দেওয়ার কারণে বর্তমানে জনগনের সাময়িক চলাচলে সুবিধা হয়েছে। আংগারগাড়া বাজার থেকে কলিয়াজুরি, ঢালুয়া, ছিটাল, ডুমনীঘাট এলাকার উপর দিয়ে কাতলামারি, সামাদি বাজার, উথুরা বাজারের সংযোগ এই রাস্তাটি। বর্তমানে নির্মাণের কাজ চলছে ধীর গতি এলাকা বাসীর অভিযোগ রয়েছে যে, এই রাস্তায় দিয়ে ১০টি এলাকার মানুষ সহ সকল বহু পণ্য বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে আনতে হয়। অন্য দিকে সারা ভালুকার মধ্যে সব চেয়ে বেশি এই ১০টি এলাকায় লেয়ার এবং ব্রয়লার মুরগির পাচ শতাদিক খামার রয়েছে। ব্রিজটি ভাংগা এবং নির্মাণের কাজ দেরি হওয়াতে এলাকা বাসীর চরম দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। পোল্ট্রি ব্যবসায়ী মোতালেব হোসেন জানান, ব্রীজ না থাকার কারণে প্রায় দীর্ঘ দিন যাবদ আমরা ১০টি এলাকার মানুষ মুরগির খাদ্য সহ সকল প্রকার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস প্রায় ৫-৬ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে দ্বিগুনের চেয়ে বেশী ভাড়া দিয়ে আনতে হয়। দ্বিগুন ভাড়ায় খাদ্য বহন করতে করতে ব্যাপক ক্ষতি সাধনের শিকার হচ্ছেন স্থানিয় অনেক পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা। বর্ষা কাল শুরু থেকেই মানুষ এই কষ্ট করে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা হেটে পার হচ্ছে। বারবার আমরা এই বিষয়টি উপর মহলকে জানিয়েছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। ব্রিজের কাজ করার জন্য ২/৩ মাস পর পর ৩/৪জন লেবার নিয়ে এসে কিছু কাজ করায় কিন্তু ব্রিজের কোন কাজ করায় না বলে অভিযোগ করেন এলাকাসী। এসময় পোল্ট্রি ব্যবসায়ী মোঃ মফিজ উদ্দিন, মোঃ মাজন উদ্দিন, মোঃ সমেজ উদ্দিন সহ ভূক্তভোগি কয়েক শতাদিক গ্রামবাসী দাবী করেন খুব তারাতারি ব্রিজটি নির্মাণ সহ রাস্তাটি সংস্কারের আহবান জানান।