মেহেদী হাসান বাবু নাটোর
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার রয়না ফিলিং ষ্টেশন এলাকায় এক কিশোরীকে গণর্ধষণের মামলায় স্বপন আলী ও শাহাদৎ হোসনে নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার ২০ জুলাই বড়াইগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নোটোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৭ ই জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তেরো বছরের এক কিশোরী মা বাবার ওপর অভিমান করে একই উপজেলার মানিকপুর গ্রামে নানার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।
সে ভ্যান যোগে নানার বাড়িতে যাওয়ার পথে উপজেলার রয়না ফিলিং স্টেশনের কাছে পৗেঁছালে ভ্যানে থাকা দুই যুবক ও ভ্যানচালকসহ তাকে জোর করে পাশের একটি কলাবাগানে নিয়ে গণর্ধষণ করে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটি নিজেই বাড়িতে ফিরে পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানায়। এরপর মেয়ের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত তিনজনকে অভিযুক্ত করে বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর ডিবি পুলিশের টিমসহ থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক স্বপন আলী ও শাহাদৎ হোসনেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত স্বপন আলী বড়াইগ্রাম উপজেলার দিঘলকান্দী গ্রামের দেল মোহাম্মদের ছেলে ও শাহাদৎ হোসেন একই এলাকার ফরহাদ হোসেনের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতদেরকে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে হাজির করলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। অন্য অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যদে মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (হেডকোর্য়াটার) মীর আসাদুজ্জামান, ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনারুল ইসলামসহ পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।