নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোর সদরের ফুলশর এলাকা থেকে মহিলাকে দিয়ে প্রতারনার ফাদ পেতে জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ। গ্রেফতারা হলেন ফুলস্বর গ্রামের আফেজ উদ্দিনের ছেলে আবুল হোসেন(৩২), রাজশাহীর চারঘাট হলিদাগাছী গ্রামের মামুরুর রহমান বাবুর স্ত্রী শরিফা আক্তার সাথী(২৮) , নাটোর সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে ফারুক (২৮) , অর্জুনপুর গ্রামের হামিদ আলী আকন্দের ছেলে হোসেন আলী(৪০), এবং চারঘাট এলাকার শিবপুর গ্রামের জসীম উদ্দিনের ছেলে নজু(৩৫)। মঙ্গলবার ২১ জুলাই মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার ২২ জুলাই দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে এক প্রেসব্রিফিংএ এসব তথ্য দেন নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
প্রেসব্রিফিংএ পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গেল ১৪ জুলাই রাতে ঢাকা থেকে মিজানুর রহমান ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে বাসযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাচ্ছিলেন। সিরাজগঞ্জে প্রতারক নারী শরিফা আক্তার সাথীর সাথে পরিচয় হয় তার এবং মোবাইল নম্বর আদান প্রদান হয়। পরে ১৫ জুলাই শরিফা আক্তার সাথী বিভিন্ন কৌশলে ব্যবসায়ী মিজানুরকে ফোনে ডেকে সিএনজি যোগে নাটোর সদর উপজেলার ফুলস্বর গ্রামে নিয়ে ঐ গ্রামের কানু সরকারের ছেলে জমির উদ্দিন সরকারের বাড়িতে নিয়ে যায়। শরিফা আক্তার সাথী ও তার সহযোগীদের যোগসাজোসে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানকে মারপিট করা এবং প্রাননাশের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন বিকাশ নম্বরে দুইলাখ দশ হাজার টাকা আদায় করে। পরে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানকে আহম্মেদপুরে রেখে পালিয়ে যায় তারা। এঘটনায় মামলা দায়ের হলে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে প্রতারনা কাজে ব্যবহৃত সিএনজিসহ ফুলস্বর গ্রামের আফেজ উদ্দিনের ছেলে আবুল হোসেন(৩২), রাজশাহীর চারঘাট হলিদাগাছী গ্রামের মামুরুর রহমান বাবুর স্ত্রী শরিফা আক্তার সাথী(২৮), এবং নাটোর সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে ফারুক (২৮) , অর্জুনপুর গ্রামের হামিদ আলী আকন্দের ছেলে হোসেন আলী(৪০), চারঘাট এলাকার শিবপুর গ্রামের জসীম উদ্দিনের ছেলে নজু(৩৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় প্রতারকদের কাছ থেকে এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।