নিউজ ডেস্ক
ময়মনসিংহের ভালুকায় উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ভালুকা টু গফরগাঁও রোডের উন্নয়ন কাজ চলছে একদিকে অন্যদিকে কিন্তু একটু বৃষ্টি হলেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে গফরগাঁও রোডে ঢুকতেই হাটু পানি জমে থাকে প্রতিদিনই। যার ফলে প্রতিদিনই কয়েক হাজার ছোট বড় মাঝারি যানবহন চলাচলে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয় এ সড়কের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে। যাতে সাধারন মানুষকে আটকে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা! পৌরশহরে গ্যাস অফিস মোড় থেকে বাসট্যান্ড সৃতিসৌধ পর্যন্ত একপাশে ঢালাইয়ের কাজ হচ্ছে কিন্তু রাস্তাটি ঢালাই করার ধরুন দুইপাশে উঁচু বান্ডারি করাতে আশপাশের এলাকা তোতাখারভিটা, কাইয়া মসজিদ,পাবলিক সিনেমা হল রোডসহ ছোট ছোট দুইপাশের সব রাস্তাই বন্ধ উন্নয়ন কাজের জন্য! এক সাইট বন্ধ থাকায় অন্যপাশের রাস্তা চালু থাকে ঠিকই কিন্তু বৃষ্টি হলে সড়কের বাসট্যান্ড থেকে মেজরভিটা হাটু পানি জমে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়! এছাড়া বৃষ্টি নাহলেও প্রতিদিনই ঘন্টার পর সিএনজি অটো-রিকশা, ড্রাম-ট্র্যাক,মিনি-বাস, কারখানার শ্রমিকদের পরিবহন সহ যানবাহনের দীর্ঘ সারি জমে যাত্রীদের আটকে থাকতে হয় ঘন্টায় ঘন্টায়! এসময় পায়ে হেটে যাবারও উপায় থাকেনা! কোন জরুরি রোগিকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় এ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকার এবং কি দুর্যোগময় সময় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো দুর্ঘটনাস্থানে দ্রুত যেতে পারেনা আটকে থাকতে হয় দীর্ঘ সময়।
সাধারন পথচারীদের দাবি, রাস্তার উন্নয়ন কাজ চলছে একপাশে ঢালাইয়ের কাজ হচ্ছে তাতে অর্ধেক রাস্তা বন্ধ কিন্তু অন্য সাইট যানচলাচল সহ মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ভাংগা গর্ত মেরামত করা হয়নি! এছাড়া একটু বৃষ্টিতে সড়কে হাটু পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠে কিন্তু রাস্তার হাটু পানি সরানোর মতো কোন ব্যবস্থা না করেই রাস্তা কাজ করে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান! সীমাহীন দুর্ভোগে ভালুকা টু গফরগাঁও রোডে যাত্রায়াত করা হাজার হাজার মানুষের তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবেনা কারও। বর্ষাকালের শুরুতেই এই জলাবদ্ধতা নিয়ে স্থানীয় গন্যমাধ্যম সহ সাধারন মানুষ জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তাটির করুন অবস্থা নিয়ে পত্রিকার নিউজসহ সোসাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ করে দ্রুত জনদুর্ভোগ সমাধানের জন্য! কোথায় প্রশাসনের নজরদারিতে এখনো আসেনি কেন তা জনমনে প্রশ্ন! করোনায় জনদুর্ভোগ সহ রাস্তার নোংরা পানিতে যানবহনে সাধারন মানুষকে হাটু পানি ভেংগে ভিজে যাতায়াত করতে হয় তখন স্বাস্থ্য বিধির বালাই থাকেনা! থাকেনা কোন সামাজিক দুরত্বের বালাই!
প্রতিদিন স্থানীয় কারখানাগুলোতে কাজ করা একাদিক পোশাক শ্রমিকরা জানান,স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, এমপি মহোদয়, পৌরমেয়র,ফায়ার সার্ভিসসহ সকল প্রকার সরকারি লোকজন কমবেশি সবাই গফরগাঁও রোডে চলাচল করে কিন্তু দুঃখের বিষয় বিগত দুই মাসের মধ্যে কাহারও চোখে পড়েনি যে গফরগাঁও রোডের জলাবদ্ধতার জন্য মানুষের কি দুর্ভোগ হচ্ছে!! এই জলাবদ্ধতার কারণে, ভাংগা রাস্তায় তীব্র যানজট থাকে বিধায় আমাদের ফ্যাক্টরির শ্রমিক বাসাগুলো এখন আর গফরগাঁও রোডে চলাচল করেনা! যার ফলে আমরা দুর-দুরান্ত থেকে পায়ে হেটে বা রিকশা করে বাসটান্ড এসে ফ্যাক্টরির বাসে কর্মস্থলে যাই! আর বাড়ি ফেরার সময় একই অবস্থা। আগে আমরা নিজ নিজ এলাকা থেকে ফ্যাক্টরির বাসে আসা যাওয়া করতে পারতাম কিন্তু এখন তার করতে পারছিনা শুধুমাএ রাস্তার বেহাল দশার জন্য। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই কর্তৃপক্ষের কাছে।
গফরগাঁও রোডের স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ি জানান, স্থানীয় এমপি মহোদয়, পৌরমেয়র, উপজেলা প্রশাসনসহ সকলের কাছে আমাদের অনুরোধ এই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেন। আর ঈদের আগে রাস্তায় কাজ বন্ধ রাখুন।