নাটোর প্রতিনিধিঃ
নাটোরের ছাতনী ইউনিয়নের মাঝদিঘা গ্রাম থেকে প্রকল্পের গম জব্দ করার ঘটনায় ছাতনী ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন এবং প্রকল্প সভাপতি ও ছাতনী ইউপি সদস্য শাহনাজ পারভীনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ আগষ্ট) দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক নাজমুল হোসোইন বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। পরে এই মামলায় গ্রফেতার দেখিয়ে অভিযুক্ত দুজনকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। এর আগে বুধবার দুপুরে নাটোর থানা পুলিশ ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের মাঝদিঘা গ্রামের বাড়ির পেছনে তার আত্মীয় কুরবান আলীর বাড়ি থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের ১৮৪ বস্তা গম জব্দ করেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন ও সদস্য শাহনাজ পপারভীনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়।
নাটোর সদর থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (৫আগষ্ট) দুপুরে মাঝদিঘা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের বাড়ীর পিছনে তার আত্মীয় কুরবান আলীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় খাদ্য অধিদপ্তরের কাবিখা প্রকল্পের ১৮৪ বস্তা গম জব্দ করে পুলিশ।
কুরবান আলী জানান, গম গুলি ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তাদের বাড়িতে রেখেছিলেন। এরপর তোফাজ্জল হোসেন ও মাঝদিঘা খাল সংষ্কার কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য শাহনাজ পারভীনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়।
নাটোর সদর উপজেলা সুত্রে জান যায় ,কাবিখা প্রকল্পের আওতায় মাঝদিঘা গ্রামের খাল সংষ্কারের জন্য ৮.৮ মেঃটন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের সভাপতি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহনাজ পারভীন। শাহনাজ পারভীন ২.২ মেঃটন করে মোট ৮.৮ মেঃটন গম উত্তোলন করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান গাতফাজ্জল হোসেনের পক্ষ থেকে জানানো হয় , কাজের বিনিময়ে খাদ্য পকল্পের আওতায় গম দেওয়ার কথা থাকলেও টাকা ছাড়া লেবার পাওয়া যায়না। একারণে চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন মাছের খাদ্য হিসেবে সেগুলো কিনে নিয়ে কুরবান আলীর বাড়িতে সংরক্ষণ করেন। অপরদিকে প্রকল্পের কাজের টাকা নগদ টাকায় পরিশোধ করা হয়।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন ও মাঝদিঘা গ্রামের খাল সংষ্কার কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য শাহনাজ পারভীনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও কাগজ পত্র যাচাই বাছাই শেষে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, সরকারী বরাদ্দের কোন অনিয়ম দেখভালের দায়িত্ব রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশানকে বুধবারই জানানো হয়।
নাটোর থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রকল্পের কাজের কাগজ পত্র যাচাই ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুর্নীতি দমন আইনের ৪০৬, ৪০৯,৪২০ ১৩৯ ধারায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন ও প্রকল্প কমিটির সভাপতি শাহনাজ পারভীনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।