ভালুকায় পল্লীবিদ্যুৎ বিরুনীয়া সাবস্টেশন অফিস
ইনচাজর্কে অনিয়মের অভিযোগে বদলী
ভালুকা,(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ-ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -২ ভালুকা উপজেলার বিরুনীয়া অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ আবুল কাশেমের যোগসাজসে কাইচাঁন গ্রামের মোঃ সাহিদ মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮) প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে কৌশলে প্রতি মাসে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব প্রতারণার বিচার চেয়ে একই গ্রামের মোঃ আব্দুল বারেক মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিস বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত সাপেক্ষে ওই ইনচাজকে
অভিযোগে জানা যায়,দেলোয়ার হোসেন মোটরসাইকেলে পল্লী বিদ্যুতের লোগো লাগিয়ে,বিদ্যুতের তার ঝুঁলিয়ে, বিদ্যুতের বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে আকাশী রংয়ের শার্ট পড়ে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পল্লী বিদ্যুতের কাজ করে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে তিনি সব সময় বিরুনীয়া অভিযোগ কেন্দ্রের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের আর্থিক ভাবে সুবিধা দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে মিটার পরিবর্তন, বিদ্যুতের সমস্যা, লাইন কেটে দেয়া, যেকোনো সময় মূল লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগে সমস্যা, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ স্হাপন, বিনা অনুমতিতে ট্রান্সমিটার এক খুঁটি থেকে আরেক খুঁটিতে পরিবর্তণ, ইচ্ছাকৃত ভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট সৃষ্টি, মিটার দেয়ার নামে প্রতারণা, বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ স্হাপন করে প্রকৃত মূল্য হতে কয়েক গুন বেশী মূল্যে টাকা আদায়ের করে চলেছেন। এ ঘটনায় ওই গ্রামের মোঃ আব্দুল বারেক মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিস বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।পরে এজিএম সফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ট্রান্সফরমার স্থানান্তরসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে তদন্ত করেন। এসময় ওই গ্রামের মুসলেম উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ারের সহযোগী কামাল উদ্দিনের বাড়ি থেকে পল্লী বিদ্যুতের স্টিকার ও লগো লাগানো মোটরসাইকেল ও বিপুল পরিমান তার জব্দ করেন। গ্রাহকেরা বলেন, এতোদিন জানতাম দোলোয়ার আনসার বাহিনীতে চাকরীর পাশাপাশি পল্লীবিদ্যুতের কাজ করে আসছে। দেলোয়ার প্রকৃত পক্ষে পল্লী বিদ্যুতের কোনো কর্মচারী না তা তাদের জানা ছিলোনা। সে স্থাণীয় অফিসকে ম্যানেজ করেই এসব অনিয়ম ও প্রতারণা করে আসছে।আমরা দেলোয়ারের কাছে জিম্মি হয়ে আছি। প্রতি মাসে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে কৌশলে সে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে সরেজমিন গেলে জানা যায়, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দেলোয়ার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়েছে এবং বার বার তার মোবাইল নম্বরে কল করলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এজিএম সফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগের বিষয়টি সরেজমিন গিয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে এবং এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দেয়ার পর বিরুনীয় ইউনিয়ন সাব স্টেশন প্রধান অঅবুল কাশেমকে অন্যত্র বদলী করে অধিকতর তদন্ত চলছে।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ (ভালুকা) জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী শাহজাহান কবির অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এলাকা হতে লিখিত অভিযোগের সত্যতা মিলেছে এবং আমরা আরও অধিকতর তদন্ত করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।