বাউফল প্রতিনিধি
ধর্ষণের উদ্দেশ্যে মা ও মেয়েসহ একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগে পাওয়া গেছে স্থানীয় জসিম উদ্দিন নামের এক লম্পটের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত লম্পট জসিম উদ্দিন (৪০) কে গতকাল রবিবার আটক করেছে পুলিশ। এ দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বিপ ইউনিয়নের দক্ষিণ চর ওয়াডেল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সুত্রে জানা গেছে, (২৬ সেপ্টম্বর) শনিবার সন্ধ্যার পরে লম্পট জসিম হাওলাদার উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরওয়াডেল গ্রামের এক জেলে পরিবারের বসত ঘরে ঢুকে। এমন সময় ওই ঘরে থাকা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া (১৩) মেয়ে জসিমকে ঘরে ঢোকার কারন জিজ্ঞেস করেন। জসিম তখন ওই মেয়েটিকে বলে, কি রান্না করেছো তোমরা, দেখিতে বলে রান্না করার খাবার গুলো দেখতে থাকে। এরপড় জসিম ঘর থেকে বের হয়ে যায়।
পরে রাত ৮টার দিকে পরিবারের সকলে খাবার খেয়ে কিছু সময় পর একে একে অচেতন হয়ে পরে। সকালে ওই পরিবারে সদস্যদের কোন সাঁড়া না পেয়ে স্থানীয় লোকজন ঘরে ঢুকে তাদেরকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পায়।
এসময় অসুস্থ অবস্থায় ৪র্থ শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে তাদেরকে জানান, জসিম হাওলাদার ঘরে এসেছিল। তিনি হয়তো খাবারের সাথে কোন কিছু মিশিয়ে দিয়েছেন। এরপর স্থানীয় লোকজন জসিম হাওলাদারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি রান্না করার খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। ঘটনার দির সন্ধায় জেলে নৌকা নিয়ে নদীতৈ মাছ শিকারে গিয়েছিলেন, রবিবার সকালে স্থানীয়দের কাছে ঘটনা শুনে বাড়ি আসেন।
চন্দ্রদ্বিপ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন জানান, আটক জসিম হাওলাদার ধর্ষণের উদ্দেশ্যে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেওয়ারর কথা তাদের কাছে স্বীকার করেছেন।
খবর পেয়ে বাউফল থানার এসআই সাইদুর রহমান হাসানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জসিমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুপুরে ওই জেলের স্ত্রী ও বড় মেয়ে ও ছোট ছেলের জ্ঞান ফিরলেও বিকাল পর্যন্ত অন্য দুই জনের জ্ঞান ফিরেনি।
কর্তব্যরত চিকিৎক জানিয়েছেন, তারা সবাই শারিরীক ভাবে অসুস্থ। সুস্থ হতে কয়েক দিন সময় লাগবে।
চন্দ্রদ্বিপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাস মোল্লা বলেন, ‘আটক জসিম হাওলাদার একজন লম্পট চরিত্রের লোক। এর আগেও তিনি এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছেন’।
আটককৃত জসিম হাওলাদার খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও ধর্ষণের উদ্দেশ্য খাবারের সাথে ওষুধ মিশিয়ে দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন,‘ যেহেতু পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ। তারা সুস্থ্য হওয়ার পরে বক্তব্য শুনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।