নিজস্ব প্রতিবেদক।
টেকনাফের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ মদদেই মেজর সিনহা রাশেদ খুন হয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদনে এমনটাই উঠে এসেছে বলে জানালেন, র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
বৈধ অস্ত্র দিয়ে প্রদীপ টেকনাফে অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভয়াশ্রম গড়ে তুলেছিলেন যা জেনে ফেলায় সিনহাকে খুন করা হয় বলেও জানান আশিক বিল্লাহ।
রোববার বিকেলে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে, কক্সবাজারের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রের আদ্যোপ্রান্ত তুলে ধরেন বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ
তিনি জানান, র্যাব নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে মামলার তদন্ত করেছে। তদন্ত কর্মকর্তা তাঁর কাজ শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪ মাস ১০ দিন। এতে আসামি করা হয়েছে ১৫ জনকে।
র্যাব বলছে, গত ৩১ জুলাই রাত ৯টা ২৫ মিনিটে সিনহা মো. রাশেদ খান গুলিবিদ্ধ হলে প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনাস্থলে এসে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হাসপাতালে নেন দায়সারাভাবে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যান্য আসামিরা পুরো হত্যাকাণ্ডটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য নাটক মঞ্চস্থ করেন।
টেকনাফে বৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভয়াশ্রম গড়ে তুলেছিলেন প্রদীপ। সাধারণ মানুষের ওপর তার নির্যাতন–নিপীড়ন ছাড়াও ইয়াবা ও মাদক কেনাবেচায় সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে তদন্ত প্রতিবেদেনে।