নিজস্ব প্রতিবেদন।
যশোরের কেশবপুরে বিয়ের মাত্র এক মাস ছয়দিনের মাথায় সন্তান প্রসব করেছে এক নববধূ। সন্তান প্রসবের পর নবজাতককে মে”রে ফে’লার চেষ্টা করা হলেও শিশুটি এখনসুস্থ রয়েছে। নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টাও করেছে নববধূ। সন্তান জন্ম দেয়া ওই নববধূ কেশবপুরের বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের খোপদহি গ্রামের বাসিন্দা। সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো। গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর সাগরদাড়ি
ইউনিয়নের শেখপুরা গ্রামের এক যুবকের স’’ঙ্গে তার বিয়ে হয়। সাগরদাড়ি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুস সবুরজানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর ওই মেয়েটির বিয়ে হয়। বিয়ের এক মাস ছয়দিন পর ম’ঙ্গলবার সকালে সে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। মেয়েটির মা-বাবা গ’র্ভে সন্তান আছে এই তথ্য গো’প’ন করে বরপক্ষের স’ঙ্গে প্র’তার’ণা করে ত’ড়িঘ’ড়ি বিবাহ সম্প’ন্ন করে। তিনি আরও জানান, নববধূ শ্বশুরবাড়িতে আসার পর বিভিন্ন সময় তার গ’র্ভের সন্তানের কারণে সম’স্যায় ভু’গছিল। ঘটনার দিন ম’ঙ্গলবার সকালে নববধূর পেঠে
ব্য’থা শুরু হলে তার স্বামী স্থানীয় সাগরদাঁড়ি পল্লী চিকিৎসক বাবুকে সংবাদ দেন। তিনি গ’র্ভে সন্তানের কথা বললেও নববধূ অ’স্বীকার করেন। পরে ডাক্তার ইনজেকশন দিলে প্র’সব বেদনা শুরু হয়। মেয়েটি বাথরুমে গিয়ে সন্তান প্র’সব করে। পরে মে’রেফে’লার চেষ্টা করে বাথরুমের পেছনে ফেলে দেয়। কিন্তু নবজাতক কা’ন্না শুরু করলে বি’ষয়টি টের পেয়ে তাকে উ’’দ্ধার করে সাতক্ষীরা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। ওই নববধূ জানায়, বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে গত এক বছর আগে শেখপুরা গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে রাসেলের স’ঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের স’ম্প’র্ক গড়ে ওঠে। রাসেল তাকে বিয়ের প্র’লোভন দেখিয়ে শারী’রিক স”ম্প’র্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে তার গ’র্ভে সন্তানের বি’ষয়টি সে রাসেলকে জানায়। কিন্তু রাসেল তাকে বিয়ে করতে অ’স্বীকার করে।
বি’ষয়টি তার বাবা-মা জানার পরও অন্য ছেলের স’ঙ্গে তার বিয়ে দেয়। ইউপি সদস্য আব্দুস সবুর জানান, তিনি ঘটনাটি স্থানীয় পুলিশ ফাঁ’’ড়িতে জানিয়েছেন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর মেয়েটি নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এজন্য তাকে চোখে চোখে রাখা হচ্ছে। তবে মেয়ের বাড়ির সবাই গা-ঢাকা দিয়েছে। নবজাতকটি সাতক্ষীরার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।