মোঃ আমিনুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাজীপুরের শ্রীপুরে এমপি ভুক্ত দু’টি বিদ্যালয় থেকে মাসের পর মাস বেতন তুলে আসছে এক শিক্ষক। বিষয়টি অনুসন্ধানে উঠে আসলে দোষ স্বীকার করে অর্থ ফেরত দেয়ার কথা জানান অভিযুক্ত শিক্ষক শাহীন মিয়া।
তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়েছেন জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা । একটিতে পাঠদান করলেও উপস্থিতি রয়েছে দুই বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায়।
মোঃ শাহীন মিয়া, চাকরি করেন একই সঙ্গে দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। শৈলাট উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দু’বছর ধরে। বেতন ভাতা উত্তোলনও করছেন ঠিকমতো। উপজেলার পার্শ্ববর্তী তেলিহাটি ইউনিয়নের আলহাজ্ব মোসলেউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়েও আইসিটি শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন একই ব্যক্তি।
সশরীরে উপস্থিত না থেকেও মাসের পর মাস বেতন নিচ্ছেন শাহীন মিয়া। হাজিরা খাতায় তৈরি করেছেন ভুয়া উপস্থিতিও। প্রতিমাসে শৈলাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৮ হাজার ১৭৭ টাকা ও আলহাজ্ব মোসলেউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৬ হাজার ৬২০ টাকা তুলে নিচ্ছেন শিক্ষক শাহীন মিয়া।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, দিব্যি দুই স্কুলের শিক্ষক হিসেবেই বেতন তুলছেন একই ব্যাক্তি। মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেও এ জালিয়াতির প্রমাণ মেলে। যেখানে দুটি প্রতিষ্ঠানেই শাহীন মিয়ার নাম, জন্ম তারিখ, ব্যাংক হিসাব নাম্বার এমন কি পৃথক ইনডেক্স নম্বর নথিভুক্ত করা হয়েছে।
শৈলাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান জানান, ইদানিং তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে, এটা আমি শুনেছি। তবে তিনি আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতিদিনই ক্লাস নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক শাহীন মিয়া নিজের ভুল স্বীকার করে বলেন, অনিয়ম করে উত্তোলন করা সব টাকা ফেরত দেবেন তিনি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা জানান, একজন শিক্ষক কখনই দুটি বিদ্যালয়ে এক সঙ্গে চাকরি করতে পারবেন না। এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।