দেশ টিভি বাংলা প্রতিবেদকঃ
বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপের সাজানো অস্ত্র ও মাদকের দুই মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন আলোচিত সাংবাদিক দৈনিক জনতারবানী ও কক্সবাজারবানীর সম্পাদক ও প্রকাশক ফরিদুল মোস্তফা খান।
বুধবার ২০ জানুয়ারী ককসবাজার জেলা দায়রা জজ মোঃ ইসমাইল সাংবাদিক ফরিদুলকে স্থায়ী জামিনের আদেশ দেন।
এর আগে মাদক ও ঘুষের বিরুদ্বে লেখালেখির কারনে উক্ত মামলা দুটিসহ ওসি প্রদীপ ও তার লালিত মাদক ব্যবসায়ীদের সাজানো ৬ মামলায় টানা ১১ মাস ৫ দিন জেলে ছিলেন সাংবাদিক ফরিদুল।
একে একে সব মামলায় জামিন নিয়ে গত বছরের ২৭ আগষ্ট তিনি কারামুক্ত হন।
বুধবার সাংবাদিক ফরিদুলের পক্ষে স্থায়ী জামিনের জন্য তার প্রধান আইনজীবি ও বিএমএসএফ’র আইন উপদেষ্টা এড,আবদুল মন্নান,এড,আমানুল্লাহ আমানু,এড,রেজাউল করিম,এড,আয়াতুল্লাহ খুমেনী,এড,এম এম ইমরুল শরীফ,এড,মোঃ ইসলাম,এড,শেখ নেওয়াজ রানা সহ ডজনখানেক আইনজিবী শুনানী করেন।
ফলে জেলা দায়রা জজ মোঃ ইসমাইলের আদালত ফরিদুলকে ২ মামলায় স্থায়ী জামিন দেন। জামিনের পর ফেসবুকে স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন,লেখালেখির কারনে টেকনাফের সেই কুলাংগার ওসি প্রদীপ ও তার লালিত মাদক ব্যবসায়ীদের সাজানো অস্ত্র ও মাদক মামলায় স্থায়ী জামিন পেলাম আজ।
আলহামদুলিল্লাহ।
ধন্যবাদ জেলা দায়রা জজ জনাব মোঃ ইসমাইল মহোদয়,বিচার বিভাগ,আইনজীবী, সকল গণমাধ্যম ও সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল।
যারা সেই থেকে এই পর্যন্ত সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে আমিও আমার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগীতা করেছেন।
মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, রাজনৈতিক নেতা,মানবাধিকার সংগঠন,কারা প্রশাসন,জেলা প্রশাসনও সম্মানিত চিকিৎসক,সহকর্মী সম্পাদক, সাংবাদিক, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক,অনলাইন,সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুক ব্যবহারকারীসহ দেশী বিদেশী অগনিত পাঠক ভক্তদের উপকার ও ভুলার নয়। মিথ্যা মামলাবাজ ও নৈপথ্য ষড়যন্ত্রকারীও তাদের আশ্রয় প্রশয় দাতাদের বিচার আসমান জমিনের মালিকের কাছে দিলাম।
এদিকে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে শুধু জামিন নয়,সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানের সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে জড়িতদের শাস্তির দাবী জানান।
এক বিবৃতিতে বিএমএসএফের কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর ফরিদ মোস্তফার সকল মামলা প্রত্যাহারের জন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় সীমা বেধে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু অদৃশ্য কারনে মামলাগুলো আজও প্রত্যাহার হয়নি। দ্রুত সরকারের পক্ষ থেকে মামলা ছয়টি প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করা হয়।