নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে কালীগঞ্জের নাগরী ইউনিয়নের নগরভেলা থেকে অপহৃত এক মাদ্রাসা ছাত্রকে চার ঘন্টার মধ্যেই উদ্ধার করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকা থেকে অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্র আশফাক (১৩) কে উদ্ধার করা হয়। সে নাগরী ইউনিয়নের নগরভেলা গায়েন বাড়ির আরশেদ আলী ফিরোজের ছেলে। সে নগরভেলা এলাকার মাদরাসাতুল কাউসার আল ইসলামিয়ার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টা ২ মিনিটে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন কল করে অপহরণের বিষয়টি পুলিশকে জানান মাদ্রাসা ছাত্রের স্বজনরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার উলুখোলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম বলেন- মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টা ২ মিনিটে ৯৯৯-এ থেকে কল পেয়ে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানতে পারি। প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণকারীদের গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্র আশফাককে উদ্ধার করা হয়। তবে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো বলেন, ৯৯৯-এ ফোন করার চার ঘন্টার মধ্যেই অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টা ২ মিনিটে কালীগঞ্জের নাগরী ইউনিয়নের নগরভেলা গ্রাম থেকে এক ব্যক্তি ‘জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯’-এ ফোন করে জানান আশফাক নামে এক ছাত্রকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীরা ছাত্রের স্বজনদের কাছে ফোনে মুক্তিপণ হিসেবে ১ লাখ টাকা দাবি করেছে এবং টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে।
অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রের স্বজনরা জানান, আশফাক বিকেলে বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে তাকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে উলুখোলার দিকে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। দুই মোটরসাইকেলে চারজন অপহরণকারী ছিলো। পরে অপহরণকারীরা আশফাকের বাবার ফোনে কল করে মুক্তিপণ হিসেবে ১ লাখ টাকা দাবি করে এবং টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কল করে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির বিষয়ে বিস্তারিত পুলিশকে জানানো হয়।