নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ভবারবেড় গ্রামে পাঁচ বছরের এক শিশু ধর্ষণের অভিযোগে হাফেজ সালমান নামের এক মাদরাসা শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। আটক শিক্ষক ছোটআঁচড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবুল হুসাইন এর ছেলে। এদিকে পরিবার সহ এলাকাবাসীর দাবী সঠিক বিচারের মাধ্যমে ধর্ষকের কঠিন শাস্তি হোক।
বেনাপোল ভবারবেড় গ্রামের পাঁচ বছরের এক শিশু প্রতিদিনের ন্যায় গত রোববার সকালে দারুস সুন্না কওমি মাদরাসায় পড়তে যায়। সেখানে নতুন শিক্ষক ছোট আঁচড়া গ্রামের আবুল হুসাইন এর ছেলে হাফেজ সালমান শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি বাড়ি আসলে তার শরিল দিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখে তার দাদী ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারে। শিশুটির মুখ থেকে সব শুনতে পেয়ে বেনাপোল থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ করে। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মামলা রেকর্ড করে বেনাপোল থানা পুলিশ। পরে ভবারবেড় দারুস সুন্না কওমি মাদরাসা থেকে শিক্ষক সালমানকে আটক করা হয়। পুলিশ শিশুকে চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবার এবং স্থানীয়রা ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি দাবী জানায়।
পরিবার এবং স্থানীয়রা জানায়, বেনাপোল পোর্ট থানার ভবারবেড় গ্রামের ওই শিশু রোববার সকালে মাদরাসায় পড়তে যায়। সেখানে মাদরাসার নতুন শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করে। মাদরাসার শিক্ষক অনেক ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানায়। আমরা সঠিক বিচার চাই যেনো এমন ঘটনা আর না হয়।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি তদন্ত রাসেল সরোয়ার বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা রেকর্ড করি। শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতে আমরা অভিযান চালিয়ে সালমান নামে এক মাদরাসার শিক্ষককে আটক করেছি। পরে আসামীকে যশোর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।