ময়মনসিংহ,ভালুকা,প্রতিনিধিঃ-ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের সিটাল গ্রামের শাহিনা আক্তার পাষন্ড স্বামী বকুল হোসেন কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে তার নামে নারী ও শিশু নির্যাতন ও যৌতুকের মামলা দায়ের করলে পুলিশ গত ২৭শে জানুয়ারী বকুল হোসেনকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে মডেল থানা পুলিশ। উপজেলার ডাকাতিয়ার বাসিন্দা মোছাঃ শাহিনা আক্তার,পিতা-মৃত হােসেন আলী, স্বামী মোঃ বকুল হােসেনের নামে দায়ের কৃত মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, বিবাদী মোঃ বকুল হােসেন (৪৫),লাল মাহমুদ ২।মােছাঃ সাথী আক্তার (২৫),স্বামী মােঃ বকুল হােসেন,ডাকাতিয়া হিজলী পাড়া,৩।শেফালী আক্তার (৪৫),স্বামী আমিনুল ইসলাম,৪।আমিনুল ইসলাম (৫০),উভয়ের বাড়ী ডাকাতিয়া ঢালুয়াপাড়ায়।অনুমানিক ২৪/২৫ বৎসর পূর্বে বকুল হোসেনের সাথে শরীয়ত মতে রেজিষ্ট্রী কাবিনে বিবাহ হয়।শাহিনার বিবাহের সময়ে অভিভাবকগন দুই ভরি বিভিন্ন স্বনালংকারসহ ঘরের আসবাবপত্রসহ দুইলক্ষ টাকার মালামাল উপঢৌকন হিসাবে দেয়।শাহিনা স্বামীর সংসারে থাকা অবস্থায় এক ছেলে শরিফুল ইসলাম (২০) মেয়ে শিউলী আক্তার(১৮) জন্ম হয়।অনুমানিক ২/৩ বৎসর পূর্ব হইতে আমার স্বামী আমার নিকট পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করে আসতে থাকে।আমার স্বামীর অন্যায় অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে বিষয়টি অভিভাবককে জানালে অভিভাবক শাহিনার সুখের কথা চিন্তা করে স্বামীকে ব্যবসা করার জন্য বিভিন্ন সময়ে নগদ তিন লক্ষ টাকা দেয়। পরে ঐ টাকা সংসারের বিভিন্ন কাজে খরচ করে পূনরায় যৌতুক বাবদ পূর্বের দাবীকৃত পাঁচলক্ষ টাকা আমার পিতার জমি বিক্রি করে এনে দিতে বলে এবং শারীরিক নির্যাতন শুরু করে।আমি বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্যসহ আত্মীয় স্বজনকে জানানোর পরেও কোন সমাধান হয়নি।ইতিমধ্যে ৩নং ও ৪নং বিবাদীর কু-পরামর্শে স্বামী আমার অজান্তে অনুমতি ছাড়া ২য় বিবাহ করে।এরপর থেকে আমার স্বামী স্বতিনের কু-পরামর্শে আমাকে শারীরিক,মানসিক নির্যাতন শুরু করে।একপর্যায়ে শাহিনা আক্তার নিরূপাই হয়ে স্বামী ও তাদের অন্যায় অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে আসে।এরপর থেকে আমি পিতার বাড়ীতে বসবাস করে আসিতেছি।শাহিনা আক্তার জানান,ঘটনার দিন ২২শে জানুয়ারি দিবাগত রাত অনুমানিক রাত ১টার দিকে ১নং বিবাদী আমার পিতার বাড়িতে বেড়াতে এসে একপর্যায়ে আমার পিতার বসত ঘরে আমার নিকট পূর্বের দাবীকৃত তিনলক্ষ টাকা আমার পিতার জমি বিক্রয় করে দেওয়ার চাপ সৃষ্টি করে,আমি যৌতুকের টাকা দিতে পারিবনা বলে জানালে শাহিনার স্বামী এলােপাথারী ভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।স্বামীর মারপিটে আমি মাটিতে পড়ে গেলে আমাকে বিনা রক্তপাতে হত্যার উদ্দেশ্যে নানা নির্যাতন সহ দুই হাত দ্বারা আমার পরিহিত উড়না দিয়ে গলায় পেচ মরিয়া ধরিয়া শ্বাসরােধ করে।আমি শক্তি প্রয়ােগ করে স্বামীর হাত ছােটাইয়া প্রাণে রক্ষা পাই।তখন আমার ডাক-চিৎকার শুনে আমার পিতার বাড়ীর লােকজন ছুটে এলে আমার স্বামী আমাকে ছেড়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।আমার শরীরের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়।পরবর্তীতে শাহিনা আক্তার শরীরের অবস্থার অবনতি হইলে আমি ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমাকে ভর্তি করানোর পরে সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরি।আমি আমার শরীরের চিকিৎসা করিয়া কিছুটা সুস্থ্য হয়ে আমার কথামত অভিযোগ লেখি পরে আমার ভাই আঃ লতিফ এর মাধ্যমে বিলম্ব হইলেও ভালুকা মডেল থানায় পাঠানো হয়।