দেশ টিভি বাংলা প্রতিবেদক:
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার গফরগাঁও ইউনিয়নের পুরা বাড়িয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে, কামাল শেখ (৩৮) এর বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় কামাল হোসেন শেখ ১৫/১১/২০০৫ সালে একই গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে মোছাম্মদ মোস্তাকিমা তানভিন আক্তারকে রেজিস্ট্রি কাবিন এর মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই থেকে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটছিল, তাদের সংসারে একে একে ৪ সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু ২০ ১৮ সাল থেকে যৌতুকলোভী কামাল শেখ স্ত্রীকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তার বাবার বাড়ি পাঠিয়ে ব্যবসার কথা বলে যৌতুক হিসেবে ৫ লক্ষাধিক টাকা দাবি করলে শশুর নজরুল ইসলাম মেয়ের সুখের দিকে তাকিয়ে মেয়ের জামাতা কামাল শেখ কে ৫ লক্ষটাকা দেন।
যৌতুকলোভী কামাল শেখ, শ্বশুরের কাছ থেকে নেয়া ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে মনোহারী দোকান করেন, অল্পদিনের মধ্যেই মনিহারি ব্যবসায় দেখিয়ে স্ত্রী কে বলেন ব্যবসায় লচ, খেয়েছি আমি আর ব্যবসা করব না, তোর, বাবা-মার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আয় বিদেশ চলে যাব, সংসারে সুখ শান্তি ফিরে আসবে,,
এই বলে অল্প দিনের মধ্যে পাসপোর্ট বানিয়ে আনেন লোভি, কামাল শেখ,। আবারো শ্বশুরের কাছ থেকে বিদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ৫ লক্ষ টাকার জন্য স্ত্রীকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে শ্বশুর আলয়ে পাঠায়, অবুঝ মায়ের মন তানভীনা, তার ৪ সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য বাবার বাড়ি যায়,। তানভীনা তার বাবাকে চাপ প্রয়োগ করে ৫ লক্ষ টাকা বিদেশ যাওয়ার জন্য স্বামী যৌতুকলোভী কামাল শেখ কে এনে দেয়,। এই টাকা দিয়ে অল্প দিনেই কামাল শেখ বিদেশ চলে যায়,।
জানা যায় বিদেশ যাওয়ার পূর্বেই কামাল শেখ পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে, বিদেশ যাওয়ার কিছুদিন পর ৪ সন্তান সহ স্ত্রীর প্রতি খোঁজখবর, খাবার-দাবারের খরচ বন্ধ করে দেয়,। ৪ সন্তানের জননী কামালের স্ত্রী বিষয়টি শশুর, শাশুড়ি, দেবর কে অবগত করেন, কিন্তু শশুর শাশুড়ি দেবর বলে আমরা কি করব তোমার স্বামীর তোমার সন্তানদের ভরণপোষণ না নিলে আমরা কোত্থেকে দিব।
স্ত্রী, তানভিনা ৪ সন্তান নিয়ে এলাকাবাসীকে জানান, এলাকাবাসীকে জানানোর অজুহাতে তার শশুর শাশুড়ি ও দেবর মিলে প্রবাসী কামালের পরামর্শক্রমে মারধোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়,।
অসুস্থ অবস্থায় বাবার বাড়ি চলে যায় তানভিনা, বাবা-মা, উন্নত চিকিৎসার জন্য গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তানবিনা কে,। পরে সুস্থ হলে তাকে বাড়ি নিয়ে যায় তার বাবা-মা,
এ ব্যাপারে তানভিনাওতার বাবা, স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, বরাবর
কামালসহ পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন,
মাননীয় এমপি সাহেব, গফরগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল আলম খোকন কে সুষ্ঠু বিচারের জন্য নির্দেশ দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান এক এক করে তিনটি নোটিশ পাঠায় যৌতুকলোভী কামাল হোসেনের পিতা আবুল হোসেনের বাড়িতে ,
৩ তিনটি নোটিশে ও আবুল হোসেন ও তার পরিবার সহ অনুপস্থিত থাকেন।
ইউপি চেয়ারম্যান বাধ্য হয়ে একটি লিখিত প্রতিবেদন দেন, এবং বলেন আপনারা আদালতে মামলা করেন, তানভিনা, সামাজিক বিচার না পেয়ে আদালতে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন।
যার স্মারক, সিআর,মোঃনং ১১৫/২০২০
আসামি, ১। কামাল শেখ, (৩৮) ২,। আবুল হোসেন ( ৫৮) ৩। কামরুন নাহার (৫৫) ৪। জামাল শেখ,( ৩৫)
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আবুল হোসেন ও তার ছেলে কামাল হোসেন গং ইতর ,গুন্ডা, বদমাশ, পরধন লোভী, ঠকবাজ, আত্মীয় ছিন্নকারী, নারী নির্যাতনকারী ও যৌতুকলোভী প্রকৃতির লোক, প্রতিবেশীরা আরো বলেন, কামাল সেখ একসময় বিএনপির রাজনীতিতে গুন্ডামি করে এলাকাবাসী সাধারন মানুষের মাঝে ত্রাস সৃষ্টি করে অনেক অপকর্ম করেছে।
ভুক্তভোগী ৪ সন্তানের জননী জানান, তিন সন্তান আমার কাছে, শুধু আমার বড় মেয়েটা কে শ্বশুরবাড়ির লোকজন রেখে দিয়েছে, আর ছোট তিন সন্তান আমার কাছে। তিনটি সন্তানের ভরণপোষণ করতে না পেরে বর্তমানে আমি গার্মেন্টস কর্মী।
আমার স্বামী কামাল শেখ সহ শ্বশুর-শাশুড়ি দেবরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।।