কর্মক্ষেত্র নাকি বিলাসবহুল জীবন যাপন দুই ক্লিনিক কর্মচারী সিএইচসিপি মোছাঃ সেলিনা খাতুন ও স্বাস্থ্য সহকারী হাবিবা খাতুন
স্টাফ রিপোর্টার
রামনগর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মোছাঃ সেলিনা খাতুনের নামে অভিযোগ উঠে আসছে দিনের পর দিন মাসের পর মাস।
প্রতিটি মফস্বল অঞ্চলে অসহায় হতদরিদ্রদের বিনা মুল্যে চিকিৎসার সেবা চালু করতে সরকারের কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর জন্য সুনাম অর্জন করলেও সেবকদের অনিয়মের কারণে রোগীদের অভিযোগের শেষ নেই।ঠিক তেমনি রামনগর কমিউনিটি ক্লিনিকের সি এইচ সি পি মোছাঃসেলিনা খাতুন স্বাস্থ্য সহকারী মোছাঃ হাবিবা খাতুনে রাজকীয় কর্মস্থানে সেবা পাওয়ার বদলে রোগীদের চিকিৎসা ও ঔষধ না পেয়েই দিন কাটাতে হচ্ছে।
টিএইচও মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে সেলিনা খাতুনের অফিস চলাকালীন ও রোগীদের ভুক্তভোগী হওয়ার বিষয়টি একাধিকবার অবগত করা হলে ও তার বিপক্ষে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে এলাকাবাসীর দাবী।
রাজকীয় কর্মস্থান হিসাবে কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত অফিস না করার নানান অভিযোগ উঠে এসেছে। অফিসে উপস্থিত না থেকেও সেলিনা খাতুনের গড় হাজিরায় বেপরোয়া প্রকাশ পেয়েছে। অধিকাংশ কর্মদিবসেই অফিসে তালা ঝুলিয়ে বাসায় চলে যান।উক্ত ক্লিনিক সাংবাদিকদের পরিদর্শনে ও তদন্তের মাধ্যমে সেলিনা খাতুনের ব্যাপক দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ পাওয়ার পরও রোগীদের দাবী সেলিনা খাতুনের যোগদানের পর থেকেই উক্ত ক্লিনিক শনিবার বন্ধ রাখেন।যা আশে পাশে থাকা সব ক্লিনিক চালু থাকলেও তিনি উক্ত নিয়ম মানতে বাধ্য নয়।সেলিনা খাতুনের এইসব অনিয়মের অভিযোগ স্থানীয় ইউপি প্রশাসন সহ অত্র কমিউনিটি ক্লিনিকের সভাপতি আলী আজগর মেম্বার সহ সবার অবগতির করা হলে ও কোনো প্রতিকার হয়নি বলে রোগীদের বক্তব্য।
আলী আজগর মেম্বার সাহেবের সাথে ফোনে আলাপ করে জানা গেলো যে সেলিনা খাতুনের ওপর আনিত অভিযোগ সত্য।তবে টিএইচও মোঃ দেলোয়ার হোসেন এই বিষয় ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানালেও কোনো প্রতিকার হচ্ছে না। উক্ত আনিত অভিযোগ সত্যতার যাচাইয়ের জন্য এলাকারউপস্থিত রোগীদের বক্তব্য ফোটে আসে অত্যন্ত নির্মম সেবাহীন চিত্র।মোছা দিলারা খাতুন (৫৫) নামের একজন বয়স্ক মহিলা তিন ঘন্টা যাবত সরকারি ঔষধ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করে বাধ্য হয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে হল সে বিষয়ও তিনি জানান।একই ভাবে নানান অভিযোগ নিয়ে প্রত্যক্ষ রোগীদের বক্তব্য মোছাঃনাছিমা খাতুন, সুমা আক্তার, রত্না বেগম, মোঃ আমির মিয়া,মোঃ মকবুল মিয়া,সুজন শীল উপস্থিত ঘটনাস্থলে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত জবান বন্দীর অভিযোগ ব্যক্ত হয়। সরকারি অফিস চলাকালীন নিয়ম তোয়াক্কা না করেই ইচ্ছেমতো অফিসে আসা যাওয়ার ঘটনার কথাই রোগীদের মুখ থেকে প্রত্যক্ষ জবানবন্দি পাওয়া যায়।সকাল ৯.৪৫ কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার কথা হলে ও ১১ টা কিংবা ১২ টায় উপস্থিত পাওয়া যায় কিন্তু হাজিরা খাতায় সরকারি নিয়ম মেনেই স্বাক্ষর দেওয়া হয়।অফিস ছুটির সময় বিকাল ৪ টা হলেও ১ টা থেকে ২ টার ভিতর নিজ বাসগৃহে ফিরতে দেখা যায়।
এই ভাবেই রাজকীয় কর্মস্থলে সুখে আছেন মোছাঃ সেলিনা খাতুন ও স্বাস্থ্য সহকারী মোছাঃ হাবিবা খাতুন।