ভালুকায় ডিজিটাল হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জেকশন দিয়ে অলি নামের এক শিশু আই সি ইউ তে থানায় মামলা
খোরশেদ আলম জীবন
ভালুকা ময়মনসিংহ ডিজিটাল হাসপাতালের নার্স মোছাঃ আলপনা ও আশিক মিয়া এই দুজনের মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন পোশ দেওয়ার ফলে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি কাশর ভালুকা যুমনা ইলেকট্রনিক শোরুম এর ডিলার মোঃ তাজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ অলি হাসান নামের এক দেড় বছরের শিশু মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বাবা মায়ের দুই সন্তানের মধ্যে ওলি সবার ছোট সন্তান। গত বৃহস্পতিবার শরীরে হালকা জ্বর আসে কাপুনি দিয়ে।।ওলির শারীরিক ভাবে দূর্বল হয়ে যাওয়ায় তৎক্ষনাত ভালুকা ডিজিটাল হাসপাতালে ভর্তি করেন।ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওরিসেফ সেফট্রিক্সন ইউএসপি ইঞ্জেকশন ওলির শরীরে পোষ করার জন্য নার্স আলপনাকে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয়।ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আলপনা ভালুকা ডিজিটাল হাসপাতালের ফার্মেসী থেকেই মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জেকশন ব্যবহার করেন শিশু ওলির শরীরে।
ওলির রোগের উন্নতি হবার চেয়ে অবনতি শুরু হয়ে গেল তৎক্ষনাৎ। ইঞ্জেকশন পোষ করার সাথে সাথেই প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল।তৎক্ষনাৎ তাজ উদ্দিন সাহেব তার ছেলের অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত এম্বুলেন্স এনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরই কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু ওলিকে দেখে সাথে সাথে আই সি ইউ তে প্রেরণ করেন।শিশুটির শরীরের মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জেকশন ব্যবহার করার ফলে সে মৃত্যুর মুখে পতিত।
উক্ত ঘটনাটি গত ২০/০২/২০২১ ইং তারিখে শিশুর বাবা তাজ উদ্দিন নিজে বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায়, অফিসার ইনচার্জ,বরাবর মোঃআশিক মিয়া ও আলপনা আক্তার কে আসামি করে একটি এজহার দাখিল করেন । ভালুকা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাইনউদ্দীন বলেন আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে।