মোঃ আব্দুল বাতেন বাচ্চু,
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ৪ নম্বর গেটের ইন্দ্রপুর এলাকায় সীমানা প্রাচীরের ভিতরে গত ২৯ মার্চ সকালে একটি মরদেহ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা।
পরে পার্ক কর্তৃপক্ষকে খবর দিলে পার্ক কর্তৃপক্ষ শ্রীপুর থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এসময় সি আইডি,পিবি আই, র্যাব উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মরদেহের কোন পরিচয় না পাওয়ায় ময়নাতদন্তের পর অজ্ঞাত হিসেবে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। মরদেহের নাকে মুখে রক্ত, গলায় কোমরের বেল্ট বাধা ও মুখে স্কচটেপ লাগানো ছিলো।
এঘটনার পর প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত যুবকের স্বজনরা সংবাদ মাধ্যমে দেখতে পেয়ে নিহতের ভগ্নিপতি শাহিন মিয়া তার শ্যালকের পরিচয় জানান ও নিশ্চিত করেন।
নিহত কবিরের ভগ্নিপতি শাহিন মিয়া জানান, নিহত কবির হাসান (২২) রংপুরের মিঠাপুকুর থানার কাঠালি নয়াপাড়া গ্রামের জবিউল ইসলামের সন্তান। কবিরকে মন্ত্রণালয়ে ড্রাইভারের চাকুরি দেয়ার কথা বলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার কুতুবভাগ গ্রামের ফজর আলীর সন্তান নাজমুল( ৩৫) কবিরের বাবার কাছ থেকে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেয়।
গত ২৫ মার্চ ড্রাইভিং শেখানোর কথা বলে কবিরকে রংপুর থেকে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর নিয়ে আসে। সর্বশেষ ২৯ মার্চ বিকেলে কবির তার বাবার সাথে মোবাইলে কথা বলেন এরপর থেকে কবির মোবাইল ফোন বন্ধ পায় তার পরিবারের লোকজন। ৩০ মার্চ সকালে সাফারি পার্ক থেকে মুখে স্কচটেপ ও গলায় বেল্ট বাধা অবস্থায় তার মরদেহ পরে থাকতে দেখা যায়। নিহত কবিরের স্বজনরা তার মরদেহ গাজীপুর থেকে তাদের বাড়িতে নিয়ে দাফন দেয়ার জন্য আইনের আশ্রয় নেন। হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামিকে ধরতে কাজ করছে পুলিশ ও র্যাব। খুব শীগ্রই খুনি ধরা পরবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।