হেফাজতে ইসলাম জামাতে ইসলামীর বি টিম- ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে
মাহাবুব উল-আলম হানিফ
আকতারুজ্জামান,মেহেরপুর প্রতিনিধি।
হেফাজত ইসলাম জামাতে ইসলামের বি টিম বলে উল্লেখ করলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। হেফাজতে ইসলামসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধিতাকারীদের সন্ত্রাসী কর্মকাÐ কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে প্রতিরোধ করার কথাও বললেন তিনি। আজ বেলা ১১ টার দিকে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকাননে মুজিবনগর দিবসের প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
স্বল্প পরিসরে মুজিবনগর দিবস পালনের অংশ হিসেবে স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে ব্রিফিং করেন মাহবুব-উল আলম হানিফ।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দরিদ্র তা নিয়ে যা বলেছেন সে বিষয়টি আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। বাংলাদেশে যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে ২০৩১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
মাহাবুব উল আলম হানিফ আরো বলেন, হেফাজত, জামায়াত, বিএনপিএরা এক এবং অভিন্ন। হেফাজত জামায়াত বিএনপির বিটিম। এরা প্রত্যেকেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। যারা হেফাজতে আছে তারা সংবিধানকে মানতে চাইনা, তারা জাতীয় সংঙ্গীত গাইতে চাইনা, তারা জাতীয় পতাকাকে সম্মান করতেও চাইনা। এগুলো বিএনপির নেতৃত্বে শক্ত দানা বেঁধেছে। ২০১৩ সালে যেভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে সাজা দিয়ে বিষ দাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছে, এই ধর্ম ব্যবসায়ী যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করে এই দেশকে ব্যার্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিনত করতে চাই তাদেরকেও আমরা আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের দাঁত উপড়ে ফেলা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুল,মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ডঃ মনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলিস্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
পরে পুলিশ ও আনসারদের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। গার্ড অফ অনার গ্রহণ শেষে মুজিবনগর আম্রকানন শেখ হাসিনা মঞ্চে প্রেসব্রিফিংয়ে অংশ নেন নেতৃবৃন্দ।।