মোঃ আব্দুল বাতেন বাচ্চু,
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভুয়া বিল ভাউচারে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শামীমা আক্তারের বিরুদ্ধে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, বিদ্যালয়ের কিছু দরজা পুরোন হয়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল বিধায় সরকার থেকে ওই দরজার মেরামত, শ্রেণীকক্ষ সু-সজ্জিতকরণ, শ্রেণী কক্ষ মেরামত, ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের স্কাউট পোষাক ও চিকিৎসক পোষাকের বরাদ্দ আসে। ওই বরাদ্দকৃত টাকায় বিদ্যালয়ের না উন্নয়ন করেই আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
আরও অভিযোগ করে বলেন, জেলা প্রশাসক বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। সেখান থেকে বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ না করেই বিল ভাউচার বানিয়ে প্রধান শিক্ষিকা ৫০হাজার টাকা উত্তোলন করেন। বাকী বিল ভাউচার বানাতে পারেননি বলে ওই টাকা এখনো জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে আনতে পারেনি। এছাড়াও সরকারী ভাবে একটি ল্যাপটপ বরাদ্দ দেয়া হলেও তিনি তা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও দীর্ঘসময় বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ না বানিয়ে সাবেক এক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বানিয়েছেন তিনি। কারও কোন পরামর্শ ছাড়াই বিদ্যালয়ে পরিচালনা করছেন। এছাড়াও ওই শিক্ষিকা দায়িত্ব নেয়ার থেকেই বিদ্যালয়টিতে কোন ধরণের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান হয়নি। প্রায় তের বছর যাবৎ একই বিদ্যালয়ে চাকুরির সুযোগে এক রাম রাজত্ব কায়েম করেছেন ওই প্রধান শিক্ষিকা। বছরের পর বছর ওই শিক্ষিকার এমন দুর্নীতি করলেও কেউ মুখ খুলতে সাহস পেতো না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানায়, ওই শিক্ষিকা কারণে-অকারণে কোমলমতী শিশু শিক্ষার্থীদের মারধর করতো। মারধরের প্রতিবাদ করলে বিদ্যালয় থেকে বহিস্কারের হুমকি দিতেন তিনি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা শামীমা আক্তারের মুঠোফোনে যোগাযোগ চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুন নাহার বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিত্রে বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে সদ্য কাজের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তদন্ত প্রতিবেদনটি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে খুব শ্রীঘ্রই জমা দেয়া হবে।