-
- রাজনীতি, সারা দেশ
- হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা!
- আপডেট টাইম : এপ্রিল, ২৬, ২০২১, ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ
- 588 বার পঠিত
মোঃ আব্দুল বাতেন বাচ্চু,
ভেঙে দেওয়া হলো হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি। গত (২৫ এপ্রিল) রবিবার রাতে হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজতের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বড় অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।
রবিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১১টায় বাবুনগরী ফেসবুক ভিডিওতে এসব কথা বলেন। তার প্রেস সচিব প্রেস সচিব মাওলানা ইন’আমুল হাসান ফারুকী গণমাধ্যম কর্মীদের ভিডিওবার্তার কথা নিশ্চিত করেন।
বাবুনগরী আরও বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে পরামর্শক্রমে কমিটি বিলুপ্ত করা হলো। ইনশাল্লাহ, আগামীতে আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে আবার হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম শুরু হবে।
এদিকে, হাটহাজারী থেকে স্থানীয় হেফাজতনেতা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত (রবিবার) রাত নয়টার পর থেকে হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার আশেপাশে ও প্রবেশপথে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে। বিভিন্ন বাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সেখানে রয়েছে।
স্থানীয় ধারণা করছেন, হাটহাজারী মাদ্রাসায় অভিযান চালানো হবে, এমন কথাবার্তা এলাকায় ছড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির ও নূর হোসাইন কাসেমীকে মহাসচিব করে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করে হেফাজতে ইসলাম। ওই বছরের (১৮ সেপ্টেম্বর২০২০ ইং) সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আল্লামা আহমদ শফীর ইন্তেকালের কারণে নতুন এ কমিটি করেছিলো হেফাজত। এরপর ওই বছরের (১৩ ডিসেম্বর২০২০ইং) মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী মারা গেলে নায়েবে আমির মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদীকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব দিয়েছিলো হেফাজত। গত (২৫ এপ্রিল) রবিবার রাতে সংগঠনটির দ্বিতীয় এই কমিটি বিলুপ্ত করলেন আমির বাবুনগরী।
এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ আগমনের বিরোধিতা করে দেওয়া হেফাজতের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত মার্চের ২৫,২৬,২৭ তারিখ দেশজুড়ে যে সহিংস ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৭ জন মানুষের প্রাণহানি হয়। পরে গত (১১এপ্রিল) রবিবার থেকে বিভিন্ন মামলায় হেফাজতের নেতাদের গ্রেফতার শুরু করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। গত (২৫ এপ্রিল) রবিবার পর্যন্ত হেফাজতের কেন্দ্রীয় অন্তত ১৬ জননেতা ও সারাদেশে অন্তত দুই শতাধিক নেতা, কর্মী ও সমর্থক গ্রেফতার হয়েছে।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
- নওগাঁয় বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ফুলের শুভেচ্ছা
- সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে বর্তমান প্রেমিকের মৃত্যু
- ছাত্রীকে ইভটিজিং করায় যুবকের কারাদণ্ড
- জমে উঠেছে কালীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ‘জামাই মেলা
- শ্রীপুরের ড্রাম ট্রাক চাপায় নিহত -১
- সাংবাদিকদের অধিকার কেবল রাষ্ট্রই নিশ্চিত করতে পারে: বিএমএসএফ খুলনা প্রতিনিধি : সাংবাদিকদের অধিকার কেবল রাষ্ট্রই নিশ্চিত করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর। শনিবার ১১ জানুয়ারী বিকালে খুলনা মহানগরীর বয়রায় একটি রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত আন্ত: জেলা বৈঠকে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যম শিল্প রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আর এ শিল্পের সাথে জড়িত সাংবাদিকদের ভালো-মন্দ রাষ্ট্রেরই দেখা উচিত। কিন্তু দেশ গঠনের ৫৪ বছর পার হলেও সাংবাদিকরা যেই তিমিরে ছিলো সেই তিমিরে রয়ে গেছে। তাদের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটেনি বরং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত তারা দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করে চলছে। রাষ্ট্রযন্ত্র তাঁদের কথা ভাবছেনা। নিউনেশনের প্রবীন সাংবাদিক ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ খায়রুল আলম, বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও বিএমএসএফের জেলা শাখার সম্পাদক মো: কামরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুর রহমান মুরাদ, কেন্দ্রীয় নেতা শাহাদাত হোসেন শাওন, কেন্দ্রীয় নেতা রহিম রানা, বাংলাদেশ বেতারের ইফফাত সানিয়া ন্যান্সি, বার্তা বাজারের খুলনা প্রধান আল মাসুম খান, নিজাম উদ্দিন স্বাধীন প্রমূখ। বৈঠকে প্রস্তাব সমর্থনের মাধ্যমে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি খুলনা জেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে বাংলাদেশ বেতারের ইফফাত সানিয়া ন্যান্সিকে আহবায়ক, বাতর্তা বাজারের আল মাসুম খানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম সাংবাদিকদের কল্যাণে, অধিকার এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠার চৌদ্দ দফা দাবি নিয়ে কাজ করছে। বিএমএসএফের দীর্ঘ এক যুগের পথচলা ছিলো ঐতিহ্য, সংগ্রামের এবং দাবি আদায়ে কাজ করা অনেকটা সফল হয়েছে। বিশেষ করে সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার থাকার চেষ্টা করছি। বিএমএসএফ মাঠের সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে ১৪ দফা দাবি আদায়ে জেলা-উপজেলা ও কেন্দ্রে নানা ধরনের সভা, প্রতিবাদ সভা, সমাবেশ ও প্রতিবাদ সমাবেশ, চা-চক্র, ভার্চুয়াল সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, বিজয় শোভাযাত্রা ও বাৎসরিক মিলনমেলা আয়োজন, জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ উদযাপন , সাংবাদিকদের মূখপত্র মিডিয়া ক্যানভাস ম্যাগাজিন প্রকাশ, জার্নালিস্ট শেল্টার হোম, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, বাংলাদেশ গঠন করে নানা ভাবে পাশে থেকে সমন্বয়, প্রতিবাদে কাজ করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ১০-১১-১২ জানুয়ারী খুলনা বিভাগের আওতায় ১০টি জেলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আন্ত:বৈঠকের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আগামীকাল বিকেলে কুষ্টিয়ায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
- ডিএমপির জ্যাকেটসহ পুলিশের ভুয়া সদস্য আটক
- গার্মেন্ট শ্রমিককে নির্যাতন, মুক্তিপণ চেয়ে ধর্মবোনকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ
- গোমস্তাপুরে নার্সের অবহেলায়া শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ, তিন নার্স সাময়িক বরখাস্ত
- গাজীপুরে কারাগারে শ্রমিকলীগ নেতার মৃত্যু