-
- জাতীয়, সারা দেশ
- দূর্ঘটনার কবলে মেহেরপুর প্রাণিসম্পদ অফিসের পিক্যাপ
- আপডেট টাইম : এপ্রিল, ২৯, ২০২১, ৬:২৪ অপরাহ্ণ
- 462 বার পঠিত
দূর্ঘটনার কবলে মেহেরপুর প্রাণিসম্পদ অফিসের পিক্যাপ
গাড়ির মুভমেন্ট অর্ডার নিয়ে একেক কর্মকর্তা ও চালকের একেক মত
মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ
দূর্ঘটনার কবলে পড়ে মেহেরপুর জেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের পিক্যাপ ভ্যানটি (যার নম্বর- ঢাকা মেট্রো-ঠ ১১-২৬৫৫) দুমড়ে মুচড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গাংনীর ছাতিয়ান নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক যার নং-(ঢাকা মেট্রো-ড-১৪-৪২৫৮) তাকে ধাক্কা দিলে এটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় গাড়ি চালক সাজাহান আলী আহত হন। স্থানীয় জনতা ধাক্কা দেয়া ট্রাকটিকে আটক করেছে।
কি কারণে সরকারী গাড়িটি ছাতিয়ান নামক স্থানে গেল এবং কেন এ দূর্ঘটনা তা নিয়ে একেক কর্মকর্তা একেক ধরণের বর্ণনা দিয়েছেন। প্রকৃত ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে তাদের এই বক্তব্য আলোচনায় এসেছে।
আহত চালক সাজাহান আলী জানান, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জরুরী প্রয়োজনে নিজ বাড়ি রংপুরে যাচ্ছিলেন। তাকে কুষ্টিয়াতে রেখে মেহেরপুরে ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকটি গাড়ির ডান দিকে ধাক্কা দিলে এটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। একই কথা জানিয়েছেন জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান।
অথচ জেলা প্রানী সম্পদ অফিসের প্রধান সহকারি মিলন জানান, গাংনীর মহাম্মদপুর বাজারে ভ্রাম্যমাণ ডিম দুধ বিক্রি ক্যাম্প চলছিল। সে ক্যাম্প পরিদর্শন করেন স্যার। পরে সেখানে থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পিক্যাপ ভ্যানটি।
চালক, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আর প্রধান সহকারীর বক্তব্যে গড়মিল হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। একটি সুত্র জানায়, সরকারী গাড়ি কোন কাজে নিয়ে যেতে হলে তার লগবুক সাথে নিয়ে মুভমেন্ট অর্ডার লিখতে হয়। জেলার বাইরে যেতে হলে জেলা প্রশাসন কর্তৃক অনুমতি গ্রহণ সাপেক্ষে অন পেমেন্টে নিয়ে যেতে হয়। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কীভাবে গাড়িটি নিয়ে গেলেন ? এর জবাব প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দেননি।
এদিকে অফিসের নানা জবাব দিহীতার মধ্যে পড়তে হবে ভেবে তিনি ভিন্ন বক্তব্য পেশ করেছেন। গাড়ির মেইন্টেনেন্সসহ যাবতীয় কাজ প্রধান সহকারীকে করতে হয়। গাড়ির গন্তব্য ও দূর্ঘটনার কারণে তাকেই জবাবদিহী করতে হবে বিধায় প্রধান সহকারী ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
- জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় কাউন্সিলর মামুন মণ্ডল গ্রেফতার
- নওগাঁয় বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ফুলের শুভেচ্ছা
- সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে বর্তমান প্রেমিকের মৃত্যু
- ছাত্রীকে ইভটিজিং করায় যুবকের কারাদণ্ড
- জমে উঠেছে কালীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ‘জামাই মেলা
- শ্রীপুরের ড্রাম ট্রাক চাপায় নিহত -১
- সাংবাদিকদের অধিকার কেবল রাষ্ট্রই নিশ্চিত করতে পারে: বিএমএসএফ খুলনা প্রতিনিধি : সাংবাদিকদের অধিকার কেবল রাষ্ট্রই নিশ্চিত করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর। শনিবার ১১ জানুয়ারী বিকালে খুলনা মহানগরীর বয়রায় একটি রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত আন্ত: জেলা বৈঠকে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যম শিল্প রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আর এ শিল্পের সাথে জড়িত সাংবাদিকদের ভালো-মন্দ রাষ্ট্রেরই দেখা উচিত। কিন্তু দেশ গঠনের ৫৪ বছর পার হলেও সাংবাদিকরা যেই তিমিরে ছিলো সেই তিমিরে রয়ে গেছে। তাদের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটেনি বরং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত তারা দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করে চলছে। রাষ্ট্রযন্ত্র তাঁদের কথা ভাবছেনা। নিউনেশনের প্রবীন সাংবাদিক ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ খায়রুল আলম, বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও বিএমএসএফের জেলা শাখার সম্পাদক মো: কামরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুর রহমান মুরাদ, কেন্দ্রীয় নেতা শাহাদাত হোসেন শাওন, কেন্দ্রীয় নেতা রহিম রানা, বাংলাদেশ বেতারের ইফফাত সানিয়া ন্যান্সি, বার্তা বাজারের খুলনা প্রধান আল মাসুম খান, নিজাম উদ্দিন স্বাধীন প্রমূখ। বৈঠকে প্রস্তাব সমর্থনের মাধ্যমে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি খুলনা জেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে বাংলাদেশ বেতারের ইফফাত সানিয়া ন্যান্সিকে আহবায়ক, বাতর্তা বাজারের আল মাসুম খানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম সাংবাদিকদের কল্যাণে, অধিকার এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠার চৌদ্দ দফা দাবি নিয়ে কাজ করছে। বিএমএসএফের দীর্ঘ এক যুগের পথচলা ছিলো ঐতিহ্য, সংগ্রামের এবং দাবি আদায়ে কাজ করা অনেকটা সফল হয়েছে। বিশেষ করে সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার থাকার চেষ্টা করছি। বিএমএসএফ মাঠের সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে ১৪ দফা দাবি আদায়ে জেলা-উপজেলা ও কেন্দ্রে নানা ধরনের সভা, প্রতিবাদ সভা, সমাবেশ ও প্রতিবাদ সমাবেশ, চা-চক্র, ভার্চুয়াল সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, বিজয় শোভাযাত্রা ও বাৎসরিক মিলনমেলা আয়োজন, জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ উদযাপন , সাংবাদিকদের মূখপত্র মিডিয়া ক্যানভাস ম্যাগাজিন প্রকাশ, জার্নালিস্ট শেল্টার হোম, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, বাংলাদেশ গঠন করে নানা ভাবে পাশে থেকে সমন্বয়, প্রতিবাদে কাজ করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ১০-১১-১২ জানুয়ারী খুলনা বিভাগের আওতায় ১০টি জেলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আন্ত:বৈঠকের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আগামীকাল বিকেলে কুষ্টিয়ায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
- ডিএমপির জ্যাকেটসহ পুলিশের ভুয়া সদস্য আটক
- গার্মেন্ট শ্রমিককে নির্যাতন, মুক্তিপণ চেয়ে ধর্মবোনকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ
- গোমস্তাপুরে নার্সের অবহেলায়া শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ, তিন নার্স সাময়িক বরখাস্ত