মোঃ আব্দুল বাতেন বাচ্চু,
গাজীপুরের পূবাইলে বিভিন্ন হাটবাজারে কেজিতে তরমুজ বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার দুপুরে পূবাইলের মীরের বাজার হাট-বাজারে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহামীনা সুলতানা নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেজিতে তরমুজ বিক্রেতাদের সতর্ক করে দেন যাতে আগামীতে তরমুজ কেজি দরে বিক্রি না করে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, তীব্র গরম ও রমজান উপলক্ষে তরমুজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার লোভে কেজিতে তরমুজ বিক্রি শুরু করেন। প্রতি পিচ তরমুজ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় কিনে সেই তরমুজ প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে সাধারণ মানুষের তরমুজ কিনে খেতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।
অপরদিকে অসাধু ব্যবসায়ীরা একটি তরমুজে প্রায় ৩ থেকে ৪ গুণ লাভ করছেন। গত কয়েক দিন ধরে এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
কৃষি বিপণন আইন-২০১৮ অনুযায়ী, ফলের ক্ষেত্রে কেজিতে ১০ টাকা লাভ করতে পারবেন, এমন বিধান রয়েছে। তবে তরমুজের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা আছে। কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকার বেশি লাভ করতে পারবেন না। আর কেজি বা পিস যেভাবে কিনবে সেভাবেই বেচতে হবে। সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে এবং বিভিন্ন মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাজীপুর পূবাইল মিরের বাজার মাজুখান বিভিন্ন হাটবাজারে অভিযান চালানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহামীনা সুলতানা বলেন, সাধারণ মানুষের অভিযোগ ছিল ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে তরমুজ কিনে ওজনে কেজি হিসেবে বিক্রি করেন। আমরা কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখেছি বেশির ভাগ ফল ব্যবসায়ী মণ হিসেবেই কিনে আনেন। কিন্তু কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকাও লাভ করেছেন কেউ কেউ। কেজিতে তরমুজ বিক্রির অভিযোগে ৪ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।