জন্ম বা মৃত্যু সনদ প্রদানে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব।
পিন্টু কুমার সরকার
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধন সনদের সরকারি ফি ৫০ টাকার পরিবর্তে শতাধিক টাকা করে আদায় করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে । বর্তমানে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের ইউনিক আইডি সংক্রান্ত কাজে জন্ম নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ইউপি সচিব আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া জন্ম নিবন্ধন সনদ নিতে আসা লোকজনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও হয়রানি করার অভিযোগও রয়েছে এই ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জন্মের ৪৫ দিন থেকে ৫ বছর পর্যন্ত কোনো শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদের ফি ২৫ টাকা এবং বয়স ৫ বছরের বেশি হলে ৫০ টাকা নিবন্ধন ফি নেওয়ার সরকারি নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ইউপি সচিব আব্দুস সামাদ সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে সনদ ফি বাবদ জনপ্রতি ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা আদায় করছে। সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, ওই ইউপি সচিব জামালহাট গ্রামের দুদু মিয়ার কাছ থেকে ৪৫০ টাকা, লিমন মিয়া তার ভাগিনার জন্য জন্ম সনদের জন্য ২০০ টাকা, জামালহাট গ্রামের নুরুন্নবীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক মিয়া বলেন আমার ছোট বোনের জন্য ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এভাবে অল্প কয়েকদিনে শতাধিক অভিভাবকের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে মোটা অঙ্কের টাকা পকেটে ঢুকিয়েছেন ওই ইউপি সচিব। এদিকে একই কারণে অনেকের সঙ্গে তিনি দুর্ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুস সামাদ অভিযোগ স্বীকার করে বলে, বিভিন্ন খরচ আছে তাই এই পরিমাণ টাকা নেওয়া হচ্ছে। সরকারি নিয়মের অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে কেন, জানতে চাইলে তিনি এর কোনো সদুত্তোর দিতে পারেনি। তবে তিনি অজুহাত হিসেবে বলেছেন কাগজ, কালি, মেশিন খরচ ইত্যাদির জন্য নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে জানতে বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজমুল হুদার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের হলে তিনি বলেন, আপনারা যা পারেন তাই করেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ -আল -মারুফ বলেন, সরকারি নিয়মের বাইরে কেউ একটি টাকাও বেশি নিতে পারবে না। এ বিষয়ে আমি ইউপি সচিবদের জানিয়ে দিয়েছি। বামনডাঙ্গা ইউপি সচিবের অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।