গফরগাঁওয়ে ছেলের বিয়ে করা নববধূকে গৃহবন্দি করে রেখেছে শশুর।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলাযর
চরআলগী ইউনিয়নের চরমোছলন্দ কাচারী পাড়া গ্রামের মৃতঃ বশির উদ্দিনের মেয়ে মুসলিমার সাথে একই গ্রামের রিটন মিয়ার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান রাহাতের সাথে মুসলিমার আদালতের মাধ্যমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই নববধূকে বর রাহাতের বাবার বাড়িতে গৃহবন্দী করে রাখার অভিযোগ উঠেছে শশুর রিটনের বিরুদ্ধে।
সরোজমিন ও ভুক্তভোগী সূ ত্রে জানা যায়,
মোস্তাফিজুর রহমান রাহাতের সাথে ২ বৎসর যাবত মুসলিমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি উভয় গার্জিয়ান পক্ষ থেকে জানাজানি হলে ছেলের বাবা মুসলিমাকে বিয়ে করাবে না বলে ছেলেকে জানালে ছেলে রাহাত কাউকে না জানিয়ে, গত ১৩ জুন রাহাত, তার বন্ধুদের সহযোগিতায় মুসলিমাকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
রাহাত, তার নারায়ণগঞ্জে থাকা আত্মীয়র বাসায় আশ্রয় নিয়ে, নারায়ণগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
এবং দুইদিন মেলামেশাও করেন।
বিষয়টি রাহাতের, বাবা-মা জানতে পেরে রাহাতকে, বলে বউ নিয়া বাসায় চলে আয়। আমরা তোমাদেরকে মেনে নিব।
রাহাত, ১৬, জুন, নববধূ মুসলিমা কে নিয়ে গফরগাঁও উপজেলা হাসপাতাল সংলগ্ন বাসায় আসে, কৌশলী রিটন মিয়া তার এলাকার কয়েকজনের সহযোগিতায় নববধূকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে রাতের অন্ধকারে নববধূকে বাবার বাড়িতে রেখে আসে।
এতিম, মুসলিমার, হত দরিদ্র পরিবার কে বলে আসে তোমরা চেয়ারম্যানকে জানালে বা, থানায় মামলা করলে তোমাদেরকে মেরে ফেলবো,
গ্রাম থেকে বাড়িঘর ভাঙচুর করে উচ্ছেদ করে দিবো এই বলে হুমকি দিয়ে আসে রাহাতের পরিবারের পক্ষ থেকে।
রিটনের বাহিনী এই অসহায় পরিবার কে নজরদারির মধ্যে রেখেছে যাতে তারা বাহিরে কারো কাছে বিচার নালিশ না করতে পারে।
কিন্তু ধর্মের ঢোল বাতাসে বাজে, এরইমধ্যে গণমাধ্যম বিষয়টি জানতে পারে।
নববধূ মুসলিমা গণমাধ্যমকে বলেন আমরা দুজন দুজনকে ভালোবেসে সজ্ঞানে আদালতের মাধ্যমে বিবাহ করেছি।
আমরা গরীব অসহায় তাই আমাকে নজর বন্দি করে রেখেছে, এই বন্দীদশা থেকে আমাকে উদ্ধার করে স্বামীর বাড়িতে, যাওয়ার জন্য আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
প্রশাসন আমাকে সহযোগিতা না করলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার কোনো উপায় থাকবে না।