নারী সহকর্মীকে শ্লীলতাহানিসহ ব্যপক দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আজিজুল হকের বিরুদ্ধে
বিশেষ প্রতিনিধি:ময়মনসিংহের জোনাল সেটেলমেন্ট রেকর্ড রুমের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মোঃ আজিজুল হকের বিরুদ্ধে নিজ অফিসের নারী সহকর্মীকে শ্লীলতাহানিসহ
ব্যপক দূরর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে-বাইরে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে চলছে চাপা ক্ষোভ। সরাসরি এতদিন কেউ মূখ না খুললেও ওই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুলের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ বিস্তর। সম্প্রতি ভুক্তভোগী নারী ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ মোট ৭ টি দপ্তরে শ্লীলতাহানি ও রেকর্ড রুমের তঞ্চকতার হাত থেকে প্রতিকার পেতে আকুল আবেদন করেছেন।
অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী বলেন,আজিজুল হক স্যার আমাদের অফিসের ৫ম তলায় দুপরের লাঞ্জের সময় আমাকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে, কিন্তু আমার সাথে ধস্তাধস্তি হলে আমি কোনরকমে নিজেকে রক্ষা করে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমানের কাছে বিচার দাবি করি। এখনো তিনি আমাকে ও আমার সাথে কর্মরত নারী সহকর্মীদের-কে নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে চলেছে আমি এর বিচার চাই। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত আজিজুল হক, যাঁচ মহরার বিজয় কুমার চাকমার সাথে মিলে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ভালুকা উপজেলার বনভূমির প্রায় ৩০ টি মৌজার,খতিয়ানের মালিকানা পরিবর্তন করেছেন। ৩০ নং পাড়াগাঁও মৌজার ডিপি খতিয়ান ১২৯,১৮৬৭ নং খতিয়ান হইতে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মালিকানা পরিবর্তনের অভিযোগ করেছে ওই ভূমির প্রকৃত মালিক নুরে আলম সিদ্দিকী।
নুরে আলম সিদ্দিকী জানান আমার পৈতৃক বন্দবস্ত কৃত সম্পত্তি ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে রেকর্ড রোমের আজিজুল হক মালিকানা পরিবর্তন করে রুছমত আলী গংদের নামে বিআরএস খতিয়ানে লিপিবদ্ধ করেছে, আমি উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করছি।
এছাড়াও মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ২৯ নং কাদিগড় মৌজার ২৮১,৩৬৪,৪১১,৫৯৮, ও ৮৯৮ দাগসহ শতাধিক বনভূমি ও সরকারি খতিয়ানের ভূমি কর্তন করে ভুক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সচেতন মহলের ধারনা এসব দূর্নীতির সাথে ভারপ্রাপ্ত জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ আব্দুল আজিজ ভুঞার ও যোগ সাজস রয়েছে এবং হবিরবাড়ি ও জামিরদিয়া মৌজা সহ ভালুকার প্রতিটি মৌজাই এখন হুমকির মুখে। রেকর্ড মালিকানা পরিবর্তন করে অঢেল অবৈধ সম্পদের মালিকও বনে গেছেন আজিজুল হক। আজিজুল হক সরকারী চাকুরিতে যোগদানের পর থেকে ময়মনসিংহ জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে অদ্যাবধি একই কর্মস্থলে আছেন। তবে গত ২০১৯ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর আজিজুল হক-কে খুলনা জোনের ফকিরহাট উপজেলায় বদলী করলেও অদৃশ্য শক্তির জোরে ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি মাত্র ১১ দিনের ব্যবধানে ফের ময়মনসিংহ জোনে চলে আসেন। এসকল অভিযোগের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ আব্দুল আজিজ ভুঞা বলেন, নারী সহকর্মীর শ্লীলতাহানির বিষয়ে আমি শুনেছি, এ নিয়ে একটি অভিযোগপত্রও অধিদপ্তরে পাঠিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী তাও শুনেছি তবে এ বিষয়ে আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ করেননি ভুক্তভোগী নারী। তিনি আরও জানান, আজিজুল হকের বিরুদ্ধে একটি ভূমি সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া গেছে যা নিয়ে আমাদের ৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে, কমিটি ১৫ দিনের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে। এসব অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল হকের অফিসে গিয়ে পাওয়া নাগেলেও তিনি মুঠোফোনে এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি বলেন আমি ব্যাস্থ আছি পরে কথা বলবো।