শ্রীপুরে পুলিশ পরিবারের উপর হামলা ও সীমানা প্রাচীর ভাঙার অভিযোগ
জীবন খান
শনিবার (২০ নভেম্বর) আনুমানিক সকাল ১০:০০ ঘটিকার দিকে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাব এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাব গ্রামের মৃত উছেম উদ্দিনের ছেলে আঃ শহিদ বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাব গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে জুয়েল মিয়া (৪২), আব্দুল আলীম (৪০), আঃ শহিদ (৫০), আঃ বারেক (৪৮), জয়নুদ্দিন (৫২), ফজলুর হক (৪৫), উভয় পিতা মৃত মোবারক আলী, জয়নুদ্দিনের ছেলে বিল্লাল ডাকাত (৩০), জয়নুদ্দিনের ছেলে কুহিনুর মিয়া (৩২), আঃ বারেকের ছেলে এনামুল (২৩), আব্দুল শাহিদের ছেলে হুমায়ন (২৫), ফজলুর হকের ছেলে সবুজ (২৪), বাচ্চু মিয়ার ছেলে সিহাব (২২), আবুল হাশেমের ছেলে সোহেল মিয়া (৩৫), আবুল হাশেমের স্ত্রী জোবেদা খাতুন (৫৫), জুয়েল মিয়ার মেয়ে সনিয়া (২১), বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী শাহানাজ (৪০), সোহেল মিয়ার স্ত্রী লাকী বেগম (২৫), শহীদ মিয়ার স্ত্রী মমতাজ (৪২), বারেকের স্ত্রী নাছিমা (৪০), আব্দুল আলীমের স্ত্রী আছিয়া (৩৫), জয়নুদ্দিনের স্ত্রী হাজেরা খাতুন (৪৫), হাসিনা (৩২), শরীফ (২১) উভয় পিতা ইনতাজ আলী, ইয়াছিন মিয়ার স্ত্রী হুরেনা বেগম (২৫), এনামুলের স্ত্রী সুমী (২০) ও শাহিদের স্ত্রী রাহিমা (৪২)।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,আবুল কালাম আজাদ ২০১১সালে সোনাব মৌজাস্তিত এস এ খতিয়ান নং ৩২৫,৩২৬,৪৬৪,এস এ দাগ নং ৬১৪,৬২১আর এস খতিয়ান নং ৫,৬,৩১১আর এস দাগ নং ২৮৭০,২৮৭১,২৮৭২,ক্রয়কৃত মোট জমির পরিমাণ ৭০.৫০ শতাংশ জমি খরিদ সূত্রে মালিক হইয়া উল্লেখিত জমির উপর বিভিন্ন প্রজাতির ফসল উৎপাদন করে আসতেছি। আমার ভাই আবুল কালাম আজাদ সরকারি চাকুরির সুবাদে কর্মস্থল ঢাকায় থাকার কারণে উক্ত জমি আমি দেখা শুনা করে আসছি।
গত ২১/০২/২০২১ তারিখে রাতের আধারে ২,৩ও ৪ নং বিবাদী আমার ভাইয়ের দখলিয় জমির উপর বেকু ও ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি ফেলে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করে।
জমিতে থাকা প্রায় ৩০ টি সিমেন্টের পিলার ও কাটা তারের নেট মাটির নিচে ফেলে দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ করে আমাদের ক্ষতি সাধন করে।
আমরা পরবতী সময়ে উত্তর ও পূর্ব সিমানার ৬ ফিট আর সি,সি বাউন্ডারী করি।উক্ত বাউন্ডারি টি আবারো ভেঙে ফেলে ২,৩,৪,ও১৩ নং বিবাদী গন ও হুমকি দিয়ে আসতে থাকে।
পরবর্তীতে আমার ভাই বাদী হয়ে২৪/০৮/২০২১ শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। নং ১২২৩, উক্ত ডায়েরি তদন্ত প্রশিকিউশন নং১০৬/২১, ২৮/০৯/২০২১ ইং ৪২৭/৫০৬ দন্ড বিধি আদালতে দায়ের করা হয় যাহা বিচারাধীন।
২০/১১/২০২১ ইং সকাল ১০ ঘটিকার সময় উপরোক্ত ৫নং বিবাদীর হুকুমে সকল বিবাদি গন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হামলা করে ভাউন্ডারী ওয়াল ভেঙে ফেলে।
আমি বাধা প্রদান করিলে ১নং বিবাদির হাতে থাকা দা দিয়ে আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথা বরাবর কোপ মারিলে আমার কপালে কুপ লাগে ও রক্তাক্ত জখম হলে আমি চিৎকার করিলে আমার স্ত্রী রুমেলা দৌড়ে আসে ২ নং বিবাদী আমার স্ত্রী কে দাঁড়ালো দা দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দেয় আমার স্ত্রী ডান হাত দিয়ে ফিরালে ডান হাতের হাড় কেটে যায় এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়ে
৩নং বিবাদী আমার স্ত্রীর গলায় থাকা এক ভরি ওজনের সোনার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় অন্যান্য বিবাদী গন বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে ফেলে।
ইটা ও বাউন্ডারি গেট নিয়ে যায়। এবং আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে ৯৯৯ ফোন দিয়ে শ্রীপুর থানা থেকে পুলিশ আসলে আমাদেরকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসার জন্য পাঠাই।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই নয়ন ভূঁইয়া জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গা অবস্থায় দেখেছি এবং আহতদেরকে শ্রীপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।