গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি:
গাজীপুরে খোলা মদের দোকান। স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্রসহ গার্মেন্টস কর্মী শ্রমিক রিকশাচালকদের দিয়েই চলছে খোলা মদের বার বা দোকান। মদ বিক্রি বা বার পরিচালনার অনুমোদন বা লাইসেন্স আছে দাবি করলেও এর সত্যতা কতটুকু সে ব্যাপারে জানা যায়নি কিছুই। এদিকে এলাকার সুধীসমাজ বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তিত হলেও বার মালিকের ভয়ে কেউই কোন অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছে না। এরপর আবার বিভিন্ন উশৃংখল ব্যক্তিদের নিয়মিত যাতায়াত করতে দেখা যায় এই মদের দোকানে। অভিভাবকরা বলছেন, মদপান করে পরিবারের সাথে মাতলামি করছেন স্কুল কলেজ পড়ুয়া সন্তানরা।
অভিভাবকদের অভিযোগ, ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী ও এস এইসি পড়ুয়া স্কুল কলেজের ছাত্ররা গাজীপুরে চান্দনা চৌরাস্তায় মদের উন্মুক্ত বার হওয়াতে নিয়মিত যাতায়াত করছে এবং মদ সেবন করছে। মদপান করে বাসায় ফিরে পড়ালেখা’তো দূরের কথা পরিবারের সদস্যদের সাথে মাতলামি ও দুর ব্যবহারের কমতি নেই। হানিমুন নামের এই মদের বার এখনই বন্ধ না করা হলে ছাত্রদের জীবন অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। তাদের দাবী দ্রুত সময়ের মধ্যে এই বার বন্ধ করতে হবে।
অনুসন্ধানে জানাযায়, স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পরিবারের অবাধ্য হয়ে নিয়মিত এই মদের বারে প্রবেশ ও মদ সেবন করে সামাজিক ভাবে বখাটেপনায় লিপ্ত হচ্ছে। তাদের মাতলামি ও উগ্রতার কোন অন্ত নেই। সন্তানদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন অভিবাবকরা। মহাসড়ক ঘেষে এই মদের বার হওয়াতে মদ সেবনকারীদের সড়ক দুর্ঘটনায় আশংকা থেকে যায়। স্থানীয়রা জানায়, প্রায় সময়’ই মদের এ দোকান থেকে মত সেবন করে মহাসড়কে অনেক সেবনকারীকেই মাতলামি করতে দেখাযায়। যেখানে দিনরাত মুদি দোকানের মতো হরহামেশাই যে কারো কাছে মদ বিক্রি করছে তারা। একাধিকবার এ মদের দোকানে সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানায় তারা।
এদিকে ‘হানিমুন’ নামক মদের বার কর্তৃপক্ষ বলছে, যাবতীয় আইনানুগ অনুমোদন নিয়েই তারা এই মদের বার পরিচালনা করছে।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস.এম. তরিকুল ইসলাম জানান, মদ সেবনকারীর লাইসেন্স থাকতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া মদের বারে গিয়ে মদপান করা বেআইনি। লাইসেন্স বিহীন, অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং শিক্ষার্থীদের মদের বারে প্রবেশের বিষয়টি আমি দেখছি।
অতি দ্রুত প্রশাসনিকভাবে এভাবে দোকানটি বন্ধ করার জোর দাবী জানান এলাকার সুধী সমাজ ও অভিভাবকেরা