কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে কপোতাক্ষ নদী ধার থেকে রিয়াদ খান (২০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুবর্ৃত্তরা। বুধবার দুপুরে কোটচাঁপুর উজেলার কপোতাক্ষ নদীর ধারে ঝিনু মিয়ার বাগান বাড়ীর পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রিয়াদ খান কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামের সলেমান আমীন খানের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে কপোতাক্ষ নদীর ধারে ঝিনু মিয়ার বাগান বাড়ীর পাশে রিয়াদের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। কোটচঁাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মঈন উদ্দীন জানান, রিয়াদ খান কোটচঁাদপুরে একটি রাইচ মিলের শ্রমিকের কাজ করতো। মঙ্গলবার রাতে রাইচ মিলের কাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে দুবর্ৃত্তরা তাকে ধরে নিয়ে কপোতাক্ষ নদীর ধারে ঝিনু মিয়ার বাগান বাড়ীর পাশে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। পরে দুপুরে খবর নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা কান্ডের সাথে জড়িতদেরকে গ্রেফতার অভিাযান রয়েছে। এদিকে সলেমান আমিন অভিযোগ করে বলেন- একটি জমি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো এলাকার শাহাদৎ খানের ছেলেদের সাথে। তারাই আমার ছেলেকে খুন করেছে। শাহাদৎ খানের ছেলেদের সাথে জমি নিয়ে বেশ কয়েক বার গোলযোগ হয়। তারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলবে এটা আমি আগে থেকেই অঁাচ করেছিলাম। সে কারণে রিয়াদকে সন্ধ্যার পর বাইরে থাকতে নিষেধও করেছিলাম। ঘটনার রাত ৭টার দিকে রিয়াদ পার্শ্ববর্তী সাইন বোর্ড মোড়ে অবস্থিত আমার রাইচ মিল থেকে বেরিয়ে যায়। সে বাড়ীতে না আসায় রাত ৮টার দিকে তিনি রিয়াদকে ফোন করেন। সে সময় রিয়াদ বলে অল্প সময়ের মধ্যে সে বাড়িতে ফিরবে। তার ঘণ্টা খানেক পর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সকালে (বুধবার) এলাকার লোকজন কপোতাক্ষ নদের পাশেই হঁাটু পানিতে জবাই করা ও মাথা কোপানো অবস্থায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে কোটচঁাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহায়মেনুল ইসলাম, ওসি মইনুদ্দীন, ওসি (তদন্ত) ইমরান আলম ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে লাশ উদ্ধার করেন। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহায়মেনুল ইসলাম বলেন, এ হত্যাকারীদের সনাক্তকরা খুব একটা কঠিন হবেনা। আমরা আলামত সংগ্রহ করেছি। দ্রুতই আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।