মোঃ আব্দুল বাতেন বাচ্চু
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাজীপুরের শ্রীপুরে ইতোপূর্বে কোন নারী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়নি। এবারই প্রথম একই ইউনিয়নে দুই নারী চেয়াম্যান পদে নেমেছেন ভোটের লড়াইয়ে। দুজনেই প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দলের নেত্রী। নির্বাচন হবে এ দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ। উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে হচ্ছে দু’জন নারীর চেয়াম্যান পদের প্রতিযোগীতা।
প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামীলীগ মনোনীত ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলা লীগের সাবেক সদস্য বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সদস্য মোসা. হাসিনা মমতাজ। তিনি জানান, ২০০৪ সাল থেকে তিনি আ’লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ধীর্ঘদিন যাবৎ রাজনীতি করছেন। এবারই তিনি প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। দলীয় নেতা কর্মীদের উজ্জিবীত করে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করছেন। চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচারণা। নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতিক নিয়ে প্রাতিদ্বন্দিতা করছেন তিনি।
অপরজন হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা মহিলা দলের সাবেক সভাপতি, বর্তমানে উপজেলা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান শেখ ফরিদা জাহান স্বপ্না। তিনি চশমা প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তিনি জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচন না করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে চশমা প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এলাকায় চালাচ্ছেন গণসংযোগ ও প্রচার প্রচারণা।
এছাড়া আ’লীগের দু’জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- আ’লীগ নেতা কায়কুবাদ, তিনি মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। অপরজন মো.সফিউদ্দিন দেওয়ান, তিনি ঘোড়া প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তারাও ভোটের মাঠে চালিয়ে যাচ্ছেন নিজ নিজ অবস্থানথেকে প্রচারণা।
জানা যায়, আগামী ৫ জানুয়ারি শ্রীপুরের ৮টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাজাবাড়ি ইউনিয়নে ৯টি ওয়ার্ডের ১৭টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে। ভোট দিবেন ১৮হাজার ৩শ ৫৯ জন পুরুষ ও ১৮হাজার ৪শ ৪৯জন নারী ভোটার ।
স্থানীয় ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আ’লীগের দু’জন বিদ্রোহী প্রার্থীসহ নির্বাচনে চারজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তবে, মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে দু’নারী প্রার্থীর মধ্যে। আ’লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় ভোট বিভাজনের আশঙ্কা রয়েছে। বিএনপি নেত্রী স্বতন্ত্র একক প্রার্থী হওয়ায় ভোটের পাল্লা তারদিকেই বেশি।
স্থানীয়রা জানায়, আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী হাসিনা মমতাজ ২০০৪ সাল থেকে আ’লীগের রাজনীতি করছেন। এবারই প্রধম প্রকাশ্য মাঠে নির্বাচনে এসেছেন। এলাকায় তার ব্যক্তিগত পরিচিতি খুবই কম। তার স্বামী প্রবীন কৃষকলীগ নেতা মো. আকবর আলী চৌধুরী এলাকায় সর্বজন পরিচিত। স্বামীর পরিচিত আর আ’লীগের সমর্থন তাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে ভোটের মাঠে।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ ফরিদা জাহান স্বপ্না দীর্ঘদিন যাবৎ স্বক্রিয়ভাবে বিএনপির রাজনীতি করে আসছেন। নিজে নেতৃত্ব দিয়ে তার স্বামী প্রয়াত কুতুব উদ্দিনের দু’টি ইউপি নির্বাচন পরিচালনা করেছেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার রয়েছে নির্বাচনের পূর্ব অভিজ্ঞতা। নিজের পরিচিতি, অভিজ্ঞতা আর দলীয় সমর্থন নিয়ে তিনিও এগিয়ে যাবেন ভোটের মাঠে। সর্বশেষ দুই নেত্রীর মধ্যেই ভোটের মাঠে লড়াই হবে হাড্ডা হাড্ডি।