মোঃ আব্দুল বাতেন বাচ্চু
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাজীপুরের শ্রীপুরে ৩৩ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারে ঝুলছিল শ্রমিকের মরদেহ
রং মিস্ত্রীর কাজ করতে গিয়েছিলেন দুলাল হোসেন (৪০) তিন তলা ভবনের ছাদের পাশে ছিল ৩৩ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক লাইন। সেই তারের স্পর্শে সঙ্গে সঙ্গে ঝলসে যায় তার দেহ।
শনিবার (১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুরের ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে মাওনা চৌরাস্তা সংলগ্ন খাজা কমপ্লেক্স এর জহুর আলী মিনি সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলার ছাদের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুলাল হোসেন উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামের মো: গিয়াস উদ্দিনের ছেল।
স্থানীয়রা জানান, দুলাল রং মিস্ত্রীর কাজ করতেন। স্থানীয় জহুর আলী মিনি সুপার মার্কেটে সকাল থেকে কাজ করছিলেন তিনি। সকাল সাড়ে দশটার দিকে ভবনের ছাদের পাশের দেয়ালে রং করতে গেলে ভবনের পাশে থাকা পল্লি বিদ্যুতের ৩৩ হাজার ভোল্টের গ্রীড লাইনে বিদ্যুৎস্পর্শ হয়ে লাইনের উপরেই ঝুলে পড়ে দুলাল। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় তার পুরো শরীর ঝলসে মগজ বেরিয়ে যায়।
ওই সময় হাজার লোকজন সেখানে জড়ো হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। ঝুকিপূর্ণ বিদ্যুৎ লাইনটিও বন্ধ না করে কাজ করায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ভবন মালিকের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এব্যাপারে ভবন মালিকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে মাওনা ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
ময়মনসিংহ পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির-২ এর মাওনা অফিসের ডিজিএম কামাল পাশা জানান, বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ না করে কাজ করায় এঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি আমরা জানতে পেরে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ লাইনের সঞ্চালন বন্ধ করে দেই।
মাওনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার ইফতেখার হোসেন রায়হান জানান, ভবন মালিকের অসাবধানতার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক রিপন খান জানান, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্তা নেয়া হবে।