-
- গাজীপুর, জাতীয়
- সাফারি পার্কে আরও দুই জেব্রার মৃত্যু
- আপডেট টাইম : জানুয়ারি, ৩০, ২০২২, ৫:৩৮ অপরাহ্ণ
- 181 বার পঠিত
মোঃ আব্দুল বাতেন বাচ্চু,
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাফারি পার্কে আরও দুই জেব্রার মৃত্যু
গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে একের পর এক জেব্রার মৃত্যু হচ্ছে। আট ঘণ্টার ব্যবধানে আরও দুটি জেব্রার মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) পার্কে দুটি জেব্রা অসুস্থ হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কিৎসাধীন অবস্থায় একটি মাদি জ্রেবার মৃত্যু হয়। অসুস্থ অপর জেব্রাটি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মারা যায়। এ নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রার মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার দুপুরে একটি জেব্রার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল কবির। নতুন করে জেব্রার মৃত্যুর কারণ জানতে ফের বৈঠকে বসেছে বিশেষজ্ঞদল। এছাড়া শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অপর জেব্রার মৃত্যু হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বনসংরক্ষক তবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার সকালে জেব্রা পালের দুটি মাদি জেব্রা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক দুটি জেব্রাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। এর মধ্যে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি জেব্রার মৃত্যু হয়। অপর অসুস্থ জেব্রাটির চিকিৎসা চলছিল। সন্ধ্যা ৬টার পড়ে অসুস্থ ওই জেব্রাটিরও মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের কোর সাফারি জোনের আফ্রিকান সাফারিতে পৃথক সময়ে ৯টি জেব্রা মৃত্যু হয়। মৃত জেব্রাগুলোর নমুনা সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা করা হয়। পরবর্তীতে ২৫ জনিুয়ারি বিশেষজ্ঞ দল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জেব্রা মৃত্যুর কারণ ব্যাখ্যা করেন। বিশেষজ্ঞরা চারটি জেব্রা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে এবং পাঁচটি জেব্রা ব্যাক্টেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে দাবি করেন। এর আগে সাফারি পার্কে ৩১টি জেব্রা ছিল। ১১টি জেব্রার মৃত্যু হওয়ায় এখন সংখ্যা দাড়িয়েছে ২০ টিতে।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
- শ্রীপুরে কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ, আহত -১২
- শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা বহুতল ভবনে অভিযান ৮৭ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার
- দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে অভিমানে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে হাতবোমা নিক্ষেপ, আহত ৫ বাংলাদেশি
- জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় কাউন্সিলর মামুন মণ্ডল গ্রেফতার
- সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে বর্তমান প্রেমিকের মৃত্যু
- ছাত্রীকে ইভটিজিং করায় যুবকের কারাদণ্ড
- জমে উঠেছে কালীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ‘জামাই মেলা
- শ্রীপুরের ড্রাম ট্রাক চাপায় নিহত -১
- সাংবাদিকদের অধিকার কেবল রাষ্ট্রই নিশ্চিত করতে পারে: বিএমএসএফ খুলনা প্রতিনিধি : সাংবাদিকদের অধিকার কেবল রাষ্ট্রই নিশ্চিত করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর। শনিবার ১১ জানুয়ারী বিকালে খুলনা মহানগরীর বয়রায় একটি রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত আন্ত: জেলা বৈঠকে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যম শিল্প রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আর এ শিল্পের সাথে জড়িত সাংবাদিকদের ভালো-মন্দ রাষ্ট্রেরই দেখা উচিত। কিন্তু দেশ গঠনের ৫৪ বছর পার হলেও সাংবাদিকরা যেই তিমিরে ছিলো সেই তিমিরে রয়ে গেছে। তাদের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটেনি বরং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত তারা দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করে চলছে। রাষ্ট্রযন্ত্র তাঁদের কথা ভাবছেনা। নিউনেশনের প্রবীন সাংবাদিক ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ খায়রুল আলম, বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও বিএমএসএফের জেলা শাখার সম্পাদক মো: কামরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুর রহমান মুরাদ, কেন্দ্রীয় নেতা শাহাদাত হোসেন শাওন, কেন্দ্রীয় নেতা রহিম রানা, বাংলাদেশ বেতারের ইফফাত সানিয়া ন্যান্সি, বার্তা বাজারের খুলনা প্রধান আল মাসুম খান, নিজাম উদ্দিন স্বাধীন প্রমূখ। বৈঠকে প্রস্তাব সমর্থনের মাধ্যমে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি খুলনা জেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে বাংলাদেশ বেতারের ইফফাত সানিয়া ন্যান্সিকে আহবায়ক, বাতর্তা বাজারের আল মাসুম খানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম সাংবাদিকদের কল্যাণে, অধিকার এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠার চৌদ্দ দফা দাবি নিয়ে কাজ করছে। বিএমএসএফের দীর্ঘ এক যুগের পথচলা ছিলো ঐতিহ্য, সংগ্রামের এবং দাবি আদায়ে কাজ করা অনেকটা সফল হয়েছে। বিশেষ করে সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার থাকার চেষ্টা করছি। বিএমএসএফ মাঠের সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে ১৪ দফা দাবি আদায়ে জেলা-উপজেলা ও কেন্দ্রে নানা ধরনের সভা, প্রতিবাদ সভা, সমাবেশ ও প্রতিবাদ সমাবেশ, চা-চক্র, ভার্চুয়াল সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, বিজয় শোভাযাত্রা ও বাৎসরিক মিলনমেলা আয়োজন, জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ উদযাপন , সাংবাদিকদের মূখপত্র মিডিয়া ক্যানভাস ম্যাগাজিন প্রকাশ, জার্নালিস্ট শেল্টার হোম, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, বাংলাদেশ গঠন করে নানা ভাবে পাশে থেকে সমন্বয়, প্রতিবাদে কাজ করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ১০-১১-১২ জানুয়ারী খুলনা বিভাগের আওতায় ১০টি জেলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আন্ত:বৈঠকের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আগামীকাল বিকেলে কুষ্টিয়ায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।