মোঃ আব্দুল বাতেন বাচ্চু,
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাজীপুরের শ্রীপুরে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন স্ত্রী সুলতানা আক্তার। বিষয়টি সুলতানার স্বামী জাহিদ টের পেয়ে স্ত্রীর পিছু নেন। পরে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলতে দেখে ক্ষিপ্ত হন জাহিদ। এরপর ভাড়া করা লোকজন নিয়ে হামলা চালান স্ত্রীর প্রেমিক নাজমুলের ওপর। প্রকাশ্যে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন তাকে। বর্তমানে নাজমুল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
নির্যাতনের স্বীকার নাজমুল উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বেইলদিয়া গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় পোলট্রি ব্যবসায়ী।
গত রোববার চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর শহরের মাওনা চৌরাস্তা এলাকায়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নাজমুল ইসলামের ছোট বোন। অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বদনী ভাঙা গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের জামাতা জাহিদুল ইসলাম ও তাঁর মেয়ে সুলতানা আক্তার।
ভুক্তভোগী যুবক নাজমুল ইসলামের ছোট বোন স্মৃতি সুলতানা বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার ভাইকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় আলহেরা হাসপাতালে এবং পরে ময়মনসিংহ এবং সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি। দুদিন যাবৎ নাজমুল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আইসিইউতে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছে। এ ঘটনার দুজনকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
আলহেরা হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ নাজমুল হক বলেন, ‘রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।’
নাজমুলের শ্বশুর মো. লিয়াকত আলী বলেন, জাহিদের এলোপাতাড়ি মারপিটে নাজমুলের ডান পায়ের হাঁটুর নিচে ভেঙে গেছে। এতে চামড়ার ওপর হাড় বেড় হয়ে যায়। মাথার তালুর হাড় ভেঙে মাথায় রক্তক্ষরণ হয়েছে। মাথার ভেতর রক্ত জমাট হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাহিদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।