মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি:
প্যানেলের মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে সারাদেশে ন্যায় মাদারীপুরে মানববন্ধন করবে প্যানেল প্রত্যাশীরা। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে মাদারীপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানবন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন জেলার সকল এনটিআরসিএ নিবন্ধনধারী শিক্ষকরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ।
তিনি বলেন, মুজিব শতবর্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপুল সংখ্যক শূন্যপদ পূরণ করতে হলে প্যানেল নিয়োগ ছাড়া বিকল্প নেই। কেননা এনটিআরসিএ এখন পর্যন্ত তিনটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগের কথা বলেছে। তবে এর মধ্যে অধিকাংশই ইনডেক্সধারী। এর ফলে শিক্ষক সংকট লেগেই থাকছে। প্রতিবার যখন গণবিজ্ঞপ্তি হয় তখন এটি বদলি বিজ্ঞপ্তি হিসেবেই গণনা করেন নিবন্ধনধারীরা। এর ফলে একদিকে যেমন শিক্ষক সংকট তৈরি হচ্ছে অন্যদিকে নিবন্ধনধারীরা হতাশায় ভুগছেন।
নজরুল ইসলাম রিপন জানান, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা বলা হচ্ছে। তবে এর মধ্যে মাত্র ১৪ হাজার প্রার্থী প্রকৃত পক্ষে নিয়োগ পেয়েছেন। আর বাকিরা সবাই ইনডেক্সধারী। তারা এক প্রতিষ্ঠান আরেক প্রতিষ্ঠানে বদলির আবেদন করেছেন। সবগুলো পদ যদি ইনডেক্সধারীদের বিপরীতে পূরণ হয় তাহলে নতুন বা এখনো যারা নিয়োগ সুপারিশ পায়নি তারা কখনোই চাকরি পাবে না।
জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, নিবন্ধন পরীক্ষায় যারা পাস করে সনদ পেয়েছে তারা সবাই চাকরি পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ষোলোটি নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারীদের জন্য মাত্র তিনটি গণবিজ্ঞপ্তি দিতে সক্ষম হয়েছে এনটিআরসিএ। কিন্তু সেখানেও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও অস্বচ্ছতা। আমরা দাবিদাওয়া নিয়ে এনটিআরসিএর দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে মূল দাবি তিনটি। প্রথমটি হলো- এক আবেদনে সকল নিবন্ধনধারী চাকরি প্রত্যাশীদের কোটা বিহীন প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে। দুই নম্বরটি হলো- সকল নিবন্ধনধারীদের স্ব স্ব নীতিমালায় নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে। আর ইনডেক্সধারীদের গণবিজ্ঞপ্তির অন্তর্ভূক্ত না করে আলাদা বদলির ব্যবস্থা করতে হবে।