বিশেষ প্রতিবেদন:
বৃদ্ধা রাভিয়ার ঘরে ফিরা কি শুধুই স্বপ্নই থেকে যাবে, নাকি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আপনজনদের সংস্পর্শে কাটবে জীবনের বাকি সময়টা। আমি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় অবস্থানরত বৃদ্ধা রাভিয়া বেগমের কথা বলছি,বয়স আনুমানিক (৮৫) যিনি নিজের পরিচয় সম্পর্কে পুরোপুরি বলতে পারেননা। এটাও বলতে পারেননা কোথা থেকে কি ভাবে তার ভান্ডারিয়ায় আগমন। শুধু অগোছালো ভাবে অস্পষ্ট ভাষায় বলতে পারে নিজের নাম রাভিয়া, সামির নাম মহারাজ, ৪ মেয়ের নাম মনোয়ারা, রেনু ,রাশেদা, মর্জিনা ও ৩ ছেলের নাম মইনুদ্দিন আইনউদ্দিন ও বোরহানউদ্দিন। নাতি (মইনুদ্দিনের ছেলে) মেহের উদ্দিন, বাবার নাম মজিদ, ভাইদের নাম কাদের, মোয়াজ্জম ও সাদেক। সামির বড় ভাইয়ের নাম বাচ্চু , আর বাচ্চুর মেয়ের নাম মাজেদা। স্বসামি আর ছেলেরা সকলে সাংশারিক কাজবাজ করে। নিজের বাড়ি ঢাকার কাছারকান্দি এবং স্বসামির বাড়ি রাজশাহি। পরিচয় বলতে শুধু এটুকুনই বলতে পারেন তাও আবার অনেক কষ্ট করে, নিজ থেকে বুঝে নিতে হয় তার ভাষা। বর্তমানে রাভিয়া বেগমের বসবাস পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়নের বোথলা বাজারের মুদি মনোহরি ব্যবসায়ী মো. হেদায়েতুল ইসলাম আকন (হিদু আকন) এর তত্বাবধানাধীন। প্রায় ১০ বছর পূর্বে ২০১২ সালের মার্চ মাসের দিকে রাবিয়া বেগম বোথলা বাজারে আসে হিদু আকনের দোকানের সামনে অবস্থান নেয়। পরে হিদু আকনা তার বাড়ি থেকে খাবার এনে রাবিয়া বেগমকে খাওয়ায়। সেই থেকে বাবিয়া বেগম আর হিদু আকনের কাছ থেকে অন্য কোথাও যায় না। হিদু আকন ও রাবেয়া বেগমকে নানী বলে ডাকে , তৈরী করে দেয় থাকার মত একটু টিনের ছাপড়া দেয়া কুড়ে ঘর। নিয়মিত খাবার দিয়ে থাকেন এবং তার মল মূত্র নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করেন। মো. হেদায়েতুল ইসলাম আকন (হিদু আকন) বলেন রাবিয়া বেগমের স্বজনদের অনেক খুঁজেছি কোন সন্ধান পাইনি। এখন তার বয়স বলতে গেলে শেষের দিকে। এই শেষ বয়সে নানীকে যদি তার স্বজনদের কাছে পৌছে দিতে পাড়তাম তা হলে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগত। হয়তো আপনাতের কারো না কারো সহযোগিতায় এই স্বজন হারা পথ ভোলা মানষিক ভারসাম্যহীন রাবেয়া বেগম যদি তার পরিবারের কাছে পৌছাতে পারে তাহলে হয়তো সকলে ভালো থাকতো। আসুন আমরা রাবিয়া বেগমকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি, আবারও প্রমান করি মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য