সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা জেলায় অবৈধ দখলদারীদের দখলত্ব উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। বৃহস্পতিবার(১৭ ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকে জেলার আঠার মাইল, কুমিরা ও পাটকেলঘাটা ওভারব্রিজ এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন সড়ক জনপদের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অনিন্দিতা রায়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ, বিভাগীয় উপ-প্রকৌশলী জিয়া উদ্দীন, সহকারী উপ-প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম, সার্ভেয়ার কামরুল আহসান, সাইফুল ইসলাম সহ সড়ক জনপদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়া উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ সড়ক ও জনপদের নির্দেশক্রমে সারাদেশে অবৈধ দখলদারীদের দখলচ্যুত এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতিপূর্বে রাস্তায় অবৈধ দখলদাদীদের নোটিশ দিয়ে অবগত করা হয়েছে। তারপর আজ সকালে কিছু কতিপয় লোক এসে অভিযানে বাধার সৃষ্টি হলে পুলিশি তৎপরতায় আবার অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেলায় তিনদিনব্যাপী এঅভিযান চলবে বলে সবশেষে বলেন তিনি।স্থানীয় ব্যবসায়ী অরুন পাল, জোতি ঘোষ, এমদাদ হোসেন সহ অনেকে জানান, আমাদের পাটকেলঘাটা এলাকায় প্রায় ৫শতাধিক দরিদ্র মানুষেরা দোকান নির্মান করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে দীর্ঘদিন । সরকারি পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত জানাই, কিন্তু মাঝখানে কয়েক শত পরিবার বেকার হয়ে গেল, এটাই আফসোস।
কুমিরা বাজার কমিটির সভাপতি শাহাবাজ আলী জানান, সকাল থেকে অভিযান পরিচালনা করছে সড়ক ও জনপদের লোকজন। কুমিরায় প্রায় দুই শতাধিক দোকান রয়েছে। আজ চোখের সামনে দরিদ্র মানুষ গুলোর দোকান ভেঙ্গে দেওয়া হল। এটা অত্যান্ত দুঃখ জনক। এই দরিদ্র মানুষগুলো কোথায় যাবে এখন? সরকার যদি তাদের পূর্ন:বাসন করতো, তাহলে দরিদ্র মানুষ গুলো বেঁচে যেত। তবু সরকারি নির্দেশ, এটা আমাদের মানতে হবে বলে জানান তিনি ।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, আমরা উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানাই। তবে পাটকেলঘাটা ওভার ব্রিজের পর ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভান্ডার নামে মুনসুর আলী অবৈধ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কোন এক অদৃশ্য কারনে সেখানে উচ্ছেদ অভিযান থেমে যায়। তিনি আরো জানান, অভিযানের সময় কুমিরা বাসস্ট্যান্ডের হিন্দু সম্প্রদায়ের শতবছরে পুরোনা মন্দির সহ ভেঙ্গে দেওয়া হয় পাশের মসজিদের কিছু অংশ। ওসময় কিছু লোক বাঁধা দিতে গেলে তাদের কোন কথাই কর্নপাত করনি সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তারা।
বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় উপ-প্রকৌশলী জিয়া উদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ওই সম্পত্তির রেকর্ডীয় মালিক মুনসুর আলী। তাঁর স্বপক্ষে কাগজপত্র সহ ট্রেস ম্যাপ আমাদের কাছে দিয়েছেন। একারনে সেখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। তবে এমন অভিযোগ কেউ যদি করে সেটা না জেনেই করছে।
উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ দখলকারী যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, তাকে ছাড় দেওয়া হবেনা বলে জানান তিনি।