-
- অর্থনীতি, ময়মনসিংহ
- ছুটির দিনেও সরকারী বরাদ্দকৃত ঘরের নির্মাণ কাজের পরিদর্শন করলেন ডিসি- ইউএনও
- আপডেট টাইম : ফেব্রুয়ারি, ১৮, ২০২২, ৮:৪০ অপরাহ্ণ
- 172 বার পঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত ঘরের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে চলছে।উপজেলার সিরতা,পরাণগঞ্জ,বাড়েরা,
গন্ডপা,আকুয়া এই ৫টি এলাকায় তৃতীয় পর্যায়ে আরো ৩৩টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মাণাধীন এসব ঘরের নির্মাণ কাজের যেন কোন প্রকার ত্রুটি না হয় সেজন্য ছুটির দিনেও এসব ঘরের নির্মাণ কাজের গুনগত মান যাচাইয়ে নিয়মিত পরিদর্শন করছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক এনামুল হক।
শুক্রবার (১৮ই ফেব্রুয়ারী)ময়মনসিংহ সদর উপজেলার উজান বাড়েরা ও গন্দ্রপায় মুজিব শতবর্ষে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য নির্মাণাধীন ঘর পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক । এসময় তার সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা সহ প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় যখন আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ নিয়ে চলছে তোলপাড়। সেখানে ময়মনসিংহের সদরসহ উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজলায় বরাদ্ধকৃত এসব আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর যেন একটা রোল মডেল। গৃহহীনদের জন্য যা স্বপ্নের বাড়ি। চারপাশে ইটের দেয়াল এবং ছাদে লাল, সবুজ ও নীল রঙের টিনের ছাউনি। ভূমিহীনরা কখনো স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি যে তারা জীবনের একটা পর্যায়ে এসে এখন একটি পরিপূর্ণ নতুন ঘর পাবেন। দীর্ঘদিন তারা অন্যের বাড়িতে দুঃখে কষ্টে আশ্রিত ছিলেন। এখন তারা প্রত্যেকে উঠেছেন নিজেদের স্বপ্নের নীড়ে।
গৃহহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরগুলি দেখতে এবং উপকারভোগীদের খোঁজ-খবর জানতে সদর উপজেলায় পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক।
তিনি উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন। এ সময় অনেকে আবেগ আপ্লুত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের জন্য দোয়া কামনা করেন। ছুটির দিনে নির্মাণাধীন ঘরের কাজের গুণগত মান যাচাই বাছাইয়ে উপস্থিত হওয়ায় জেলা প্রশাসকের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এলাকাবাসী ও উপকার ভোগীরা। পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ঘরে ওঠার অপেক্ষায় থাকা ওইসব পরিবারের সদস্যদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া কামনা করেন।
এ সময় উপকারভোগীরা বলেন, এতদিন সবাই গৃহহীন হয়ে অন্যের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দিনাতিপাত করে আশ্রিত ছিলেন। এখন তারা প্রত্যেকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে নতুন ঘরে ওঠার আনন্দে বেজায় খুশি। তাদের চোখে মুখে যেন হাসির ঝিলিক। মুজিববর্ষে তাদের সবার ভাগ্য বদল হয়েছে।
স্বপ্নের নতুন ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তারা প্রত্যেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, শেখের বেটি (শেখ হাসিনা) কারণে আমরা নতুন ঘর পাচ্ছি। কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি একটি পাকা ঘর পাব। কিন্তু শেখের বেটির কারণে আমাদের সেই কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এখন মরার আগে কিছুদিন শান্তিতে বাঁচতে পারব।
পরিদর্শনের সময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে স্থানীয়পুলিশ প্রশাসনসহ গণ্যমান্য, রাজনৈতিক সামাজিক , এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
- বেনজীরের রিসোর্টে অভিযান না চালানোয় ক্ষোভ
- শ্রীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ২০ কোটি টাকার বনভূমি উদ্ধার
- টঙ্গীতে ২ কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন মো: আব্দুল বাতেন বাচ্চু,
- গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে দুটি ম্যাকাও পাখি চুরি একটি উদ্ধার
- নদী ভরাট ও হিন্দুদের জমি দখল করে কিরণের বাগানবাড়ি নিজস্ব প্রতিবেদক, দেশ টিভি বাংলা : নদী ভরাট ও হিন্দুদের জমি দখল করে গড়ে তোলা কিরণের বাগানবাড়ি রয়েছে সুন্দর করা বাগানবাড়ির প্রধান ফটক। বিজিবির হাতে গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে আটক হন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুর রহমান কিরণ। দৃশ্যমান সম্পত্তির বাইরে সম্প্রতি তার একটি বাগানবাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে সেই বাড়িটি বালু নদীর ফোরশোর ও হিন্দুসম্প্রদায়ের জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে এই জমির মূল্য ১৬০ কোটি টাকা। সেই বাগান বাড়িতে এখন কেউ নেই। কিরণ আটকের পর বাড়ির গেটে তালা মেরে পালিয়ে গেছেন নিরাপত্তা কর্মীরাও। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নে বালু নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত রয়েন গ্রাম। এর বিপরীত তীরে ছিকুলিয়া গ্রাম। এই গ্রামের পূর্বাংশে বালু নদীর ফোরশোরে নদীর তীর দখল করে কিরণ গড়ে তুলেছেন বিলাসবহুল এ বাগান বাড়ি। কিরণের আটকের খবরে সে বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা প্রধান গেটে তালা মেরে পালিয়ে যান। সরেজমিনে দেখা যায়, বিশাল আকৃতির ওই গেটের ভেতরে বালু নদীর তীরে বালু ভরাটের কাজ চলছিল। ভেতরে বেশ কয়েকটি ভবনও নির্মাণ করা হয়েছে। থাকার জন্য বাংলো, ফুলের বাগানসহ একটি পরিপূর্ণ রিসোর্টের কাজ চলমান। স্থানীয়রা বলছেন, দুই দিন আগেও লোকজন ছিল। এখন নেই। তালা মেরে চলে গেছে। বিলাসবহুল বাগান বাড়িটির মালিক কে, এই প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, মেয়র কিরণ স্যার এই বাড়ির মালিক। তিনি কতটুকু জমি কিনেছেন এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা বললে আমার বিপদ হবে। আমি জানি না।’ তবে এই জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে দালালি যারা করেছেন তাদের দুই জন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জমি কেনা হয়েছে ১০ বিঘার মতো। বায়না করা আছে আরো ১০ বিঘা। বাকি জমি কিরণ কিভাবে নিয়েছেন, তা তারা জানেন না। তবে হিন্দুদের জমি ও বালু নদীর ফোরশোর দখলের মাধ্যমে কিরণের ৪০ বিঘা হয়েছে এটা নিশ্চিত করেছেন তারা। ২০২১ ও ২০২২ সালে ভারপ্রাপ্ত মেয়র থাকাকালে কিরণ নিজের ও তার প্রতিষ্ঠান গ্রীনডট বিল্ডার্সের নামে ৩.২৬ একর জমি ক্রয় করে জমাভাগ করেছেন। মোট ৬টি নামজারি করে জমাভাগ করার পর খাজনা পরিশোধ করেছেন তিনি। হিন্দুদের জমি নাম মাত্র মূল্যে ক্রয় করেছেন কিরণ। একই সঙ্গে বালু নদীর ফোরশোরও দখল করে মাটি ও বালু ভরাট করেছেন। এখন এই বাগান বাড়ির আওতায় প্রায় ৪০ বিঘা জমি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ১০ বিঘা জমি ক্রয় করে দখল করতে করতে এখন ৪০ বিঘার মত জমি কিরণের কব্জায় বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীল থাকা সূত্র। ক্ষমতায় থাকলে এই জমির পরিমাণ শত বিঘা অতিক্রম করত বলে অভিমত তাদের। এই বিষয়ে পূবাইল ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আরিফ উল্লাহ জানান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ নিজ নামে ও তার প্রতিষ্ঠান গ্রীনডট বিল্ডার্সের নামে ২০২১-২০২২ সালে মোট ৬টি খারিজের মাধ্যমে ৩.২৬ একর জমির মালিক হয়েছেন। বাকি জমির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। জমি কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বলেছেন, সেখানের জমি কাঠা প্রতি ২০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। সে হিসেবে ৪০ বিঘা জমির মূল্য ১৬০ কোটি টাকা হবে। ৫ আগস্টের আগে কিরণ বলেছিলেন, তার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। গত সোমবার যশোরের শিকারপুর সীমান্তে বিজিবির হাতে আটক হন আসাদুর রহমান কিরণ। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় তিনটি হত্যা মামলাসহ ৭টি মামলা রয়েছে বলে প্রতিবেদক কে জানিয়েছেন টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি কায়সার আহমেদ। যশোরে ভারতে অনুপ্রবেশের মামলার আনুষ্ঠানিকতা শেষে কিরণকে টঙ্গীতে আনা হবে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
- পথরোধ করে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে টাকা ছিনতাই
- কাফনের কাপড় পড়ে মানববন্ধন ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম
- হাজতখানায় বসে টাকা হাতবদল : কনস্টেবল বরখাস্ত, ওসিসহ ৩ জনকে শোকজ
- গাজীপুরে ৩০ কারখানা ছুটি ঘোষণা
- হাসপাতালে ৬ লিফটের ৪টিই নষ্ট, রোগীদের ভোগান্তি