নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাজীপুরের শ্রীপুর বন বিভাগের জমি অভিনব কৌশলে দখলে রেখেছিলো বিবিএস ক্যাবল নামক একটি কারখানা বহুবছর ধরে। বনের জমি রক্ষায় বন বিভাগ একাধিকবার চেষ্টা করেও পারেনি বলে তাঁরা দাবি করেন। ভেতরে বনের জমিতে বন বিভাগ সিজিত বনায়ন করলেও তেমন কোন ফল আসেনি। কারণ বনের জমির চারপাশে বিবিএস ক্যাবল উঁচু সীমানাপ্রচীর করে রেখেছিলো। গতকাল রবিবার বনের জমি কারখানার দখলে এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের কয়েক ঘন্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট বন বিভাগ বনের জমি উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করে। সরজমিন ঘুরে দেখাযায়, কারখানা কতৃপক্ষ অভিনব কৌশলে দখলে রাখা ৫৭ শতাংশ জমির চারপাশের উঁচু সীমানাপ্রচীর ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে। বন বিভাগের বেশ কয়েকজন কর্মী সকাল সাড়ে দশটার দিকে গিয়ে অভিযান শুরু করে। এসময় সিমানার টিনসহ পিলার ভেঙে গুড়িয়ে রাস্তা উপর ফেলে দেয়। কারখানা প্রধান ফটকের সামন দিয়ে এমনকি যেকোনো জায়গা দিয়ে বনের জমিতে প্রবেশ করতে পারবে বন কর্মীরা। বনের ভেতরের জায়গা বিবিএস ক্যাবল কারখানা দখল করে ব্যবহারের বিভিন্ন চিত্র দেখা যায়। ওঁরা বনের জমি দখল করে কারখানার বিভিন্ন সামগ্রী রেখে দিয়েছে।
শ্রীপুর রেঞ্জের অধীনে সাতখামাইর বিটের বিট কর্মকর্তা নওয়াব হোসেন সিকদার বলেন, উদ্বর্তন কতৃপক্ষের নির্দেশনায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ সীমানাপ্রচীর ভেঙে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী বনের জায়গায় এ মৌসুমে বনায়ন করা হবে।
শ্রীপুর রেঞ্জের চলতি দায়িত্বে থাকা সদর বিট কর্মকর্তা মীর বজলুল রহমান বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর, সংবাদটি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার দৃষ্টিগোচর হয়। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে সীমানাপ্রচীর ভেঙে দেয়ার নির্দেশ দেন। নিদর্শনা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাজী নূরুল করিম বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয় বনের জমি কারখানার দখলে এই সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়। সংবাদটি দৃষ্টিগোচর হওয়ার পরপরই সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তাকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর শ্রীপুর রেঞ্জের কর্মকর্তা কর্মচারীরা অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ সীমানাপ্রচীর ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়। তিনি আরও জানান, জমিতে নতুন করে বনায়ন করা হবে। এসময় শ্রীপুর রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা সদর বিট কর্মকর্তা মীর বজলুল রহমান, সাতখামাইর বিট কর্মকর্তা নওয়াব হোসেন সিকদারসহ বন বিভাগের গার্ড মালিরা উপস্থিতি ছিলেন।
উল্লেখ্য গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি মৌজার ২ নম্বর খতিয়ান ভুক্ত ২৯২৩ দাগে ২৬ শতাংশ ও ২৯২৪ দাগে ৩১ শতাংশসহ মোট ৩১ শতাংশ জমি দখলে রেখেছিলো বিবিএস ক্যাবল নামক কারখানা।